নেত্রকোণায় ওয়ার্ড বিএনপির সভায় যুবলীগ নেতাকর্মীদের হামলায় অন্তত ১০ জন বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (২০ আগস্ট) সন্ধ্যায় জেলার কলমাকান্দা উপজেলার খারনৈ ইউনিয়নের বামনগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক গেদু মিয়া ও ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি এরশাদ আকুঞ্জিকে পাশ্ববর্তী দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কমিটি গঠনের লক্ষে শনিবার বিকেলে ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. আবদুল লতিফের বামনগাঁও বাড়িতে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এক পর্যায়ে সন্ধ্যায় ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ও যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন মন্ডলের নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ওই সভায় হামলা করে। 

এতে খরনৈ ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক গেদু মন্ডল, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আক্কাস আলী, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কলি আক্তার, ডা. আবদুল লতিফ, ইউপি সদস্য আবদুল খালেক, মো. কাসেম মিয়াসহ কমপক্ষে ১০ জন নেতাকর্মী আহত হন। এ সময় বেশ কিছু চেয়ার, টেবিল ও কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয় এবং আহতদের কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিতেও হামলাকারীরা বাধা দেয় বলে জানান বিএনপি নেতাকর্মীরা।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে খারনৈ ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন মন্ডল বলেন, সভা-সমাবেশ করতে বিএনপির লোকজনকে নিষেধ করা হয়েছিল। কিন্তু তারা নিষেধ না মেনেই সভা করছিল। আমাদের ছেলেরা তাদের সভা করতে নিষেধ করতে গেলে তারা ক্ষিপ্ত হয় এবং আমাদের লোকজনের সঙ্গে মারামারিতে লিপ্ত হয়। পরে আমরা ওদের সেখান থেকে তাড়িয়ে দেই। কোনো ধরনের হামলা করা হয়নি।

কলমাকান্দা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান বলেন, হামলার ঘটনার কথা শুনেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

জিয়াউর রহমান/এসপি