কুমিল্লা নগরীর ধর্মপুর রেলগেট এলাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুইপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে অন্তত তিন জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে। এসময় এক আওয়ামী লীগ নেতার মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

রোববার (২১ আগস্ট) এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার দুর্গাপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য ও আওয়ামী লীগ সদস্য আবদুল হান্নান ওরফে সোহেলের সঙ্গে একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য ফখরুল ইসলাম রোবেলের দ্বন্দ্ব চলছিল। সেই দ্বন্দ্বের জের ধরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে রোববার বিকেলে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে এক সভার আয়োজন করে আদর্শ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ। সভায় মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে আবদুল হান্নানের অনুসারীরা ফখরুল ইসলামের অনুসারী বাদশা মিয়াকে মারধর করেন।

পরে আবদুল হান্নান ও মো. রাসেল মোটরসাইকেল নিয়ে ধর্মপুর রেলক্রসিং এলাকা পার হচ্ছিলেন। তখন ফখরুল ইসলাম ও তার অনুসারীরা আবদুল হান্নান ও রাসেলকে ধাওয়া করেন। আবদুল হান্নান পালিয়ে যান ও রাসেল মোটরসাইকেল ফেলে ওই এলাকা ত্যাগ করেন। এ সময় রাসেল পায়ে গুলিবিদ্ধ হন বলে দাবি করেছেন আবদুল হান্নান।

পরে ফখরুলের অনুসারীরা রাসেলের মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে এ ঘটনার জন্য ফখরুল ইসলামের পক্ষকে দায়ী করেছেন আবদুল হান্নান। তিনি বলেন, রাসেল পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এসময় আরও দুই জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কুমিলা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহিদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয় দুইপক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব থেকে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। গুলিবিদ্ধের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

আরিফ আজগর/এমএইচএস