মুসতাক আহমেদ

র‌্যাবের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার লেখক মুশতাক আহমেদ (৫৩) কাশিমপুর কারাগারে মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে আটটার দিকে তার মৃত্যু হয়।

শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে হাসপাতালে তার মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়নি, হাসপাতালের মর্গেই পড়ে আছে মরদেহ।

মুশতাক আহমেদ নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার ছোট বালাপুর এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।

এ বিষয়ে কাশিমপুর কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. গিয়াস উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে মুশতাক আহমেদ কারাগারে মাথা ঘুরে পড়ে অচেতন হয়ে যান। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কারা হাসপাতালে পরে অবস্থান উন্নতি না হলে দ্রুত তাকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নেওয়ার পর ৮টা ২০ মিনিটে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মোহাম্মদ শরীফ ঢাকা পোস্টকে জানান, কাশিমপুর কারাগার থেকে ওই বন্দিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

শুক্রবার সকাল ৯টার দিকেও লাশের ময়নাতদন্ত হয়নি। এর আগে সুরুতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হবে। ময়নাতদন্ত শেষে মুশতাক আহমেদের মৃতদেহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গত বছরের মে মাসে রমনা থানায় র‌্যাবের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় গ্রেপ্তারের পর ওই বছরের ৬ মে আদালতের মাধ্যমে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয় মুশতাককে। সেখান থেকে ২৪ আগস্ট তাকে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। 

এনএ