নোয়াখালীতে আমেনা বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার দায়ে তার দুই ভাসুরের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও তাদেরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। 

সোমবার (২২ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে জেলা বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এনএম  মোর্শেদ খান এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নোয়াখালীর সদর থানার দয়ারামদি গ্রামের সারেং বাড়ির তাজুল ইসলামের ছেলে মাইনুদ্দিন (৪৫) ও সবুজ (৩০)। 

রায় ঘোষণার সময় আসামি মাইনুদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে নোয়াখালী জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। তবে অপর আসামি সবুজ পলাতক ছিলেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে আসামি মাইনুদ্দিন ও সবুজ গৃহবধূ আমেনা বেগমকে মারধর করে হত্যা করেন। এরপর দ্রুত মরদেহ দাফন করেন। আমেনার স্বামী বিদেশ থাকায় তার মা রোমেনা বেগমকে জানান। পরবর্তীতে রোমেনা বেগম বাদী হয়ে ২০০৬ সালের ২১ মার্চ আদালতে মামলা করেন। আদালত এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ রায় ঘোষণা করেন।  

নিহতের মা রোমেনা বেগম ঢাকা পোস্টকে বলেন, তারা আমার মেয়েকে হত্যা করে দ্রুত মরদেহ দাফন করে। আমি পরবর্তীতে পুকুরে তার জামা কাপড় ভাসতে দেখি এবং আখি ও টুটুল নামে দুই নাতি তাদের মায়ের মৃত্যুর বর্ণনা দেয়। তাদের বিরুদ্ধে  মামলা করেছি এবং ন্যায়বিচার পেয়েছি। 

মেয়ে আমেনা বেগমকে ২০০০ সালে আফসার কামালের সঙ্গে বিবাহ দেন তার মা রোমেনা বেগম। সেই ঘরে আখি ও টুটুল নামে দুই সন্তানের জন্ম হয়। সন্তানসহ ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন তারা। আফসার কামাল ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য বিদেশে গেলে আমেনা বেগম নোয়াখালীর সদর থানার দয়ারামদি গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে চলে আসেন। 

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) মো. এমদাদ হোসেন কৈশোর ঢাকা পোস্টকে বলেন, দীর্ঘ যুক্তিতর্ক শেষে আজ রায় দেওয়া হয়। আদালত মাইনুদ্দিন ও সবুজকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।

হাসিব আল আমিন/আরএআর