আজ ১১তম দিনেও মৌলভীবাজারের অধিকাংশ চা-শ্রমিকরা কাজে যোগ দেননি। মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) সকাল থেকেই জেলার বালিশিরা, মনু, ধলাই, জুড়ি, লংলার অধিকাংশ বাগানে শ্রমিকরা কাজে আসেননি। 

চা-শ্রমিকরা জানান, প্রধানমন্ত্রীর কথা বলে আমাদের ধোকা দেওয়া হচ্ছে। আমরা এ সিদ্ধান্ত মানি না। 

কালিঘাট চা-বাগানের শ্রমিক চন্দ্রা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজে ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত আমরা বিশ্বাস করি না। তারা আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। 

জানা যায়, সোমবার (২২ আগস্ট) মধ্য রাতে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে শ্রমিক নেতা ও প্রশাসন মিলে এক বৈঠকে আগের মজুরিতে বাগানে কাজে ফেরার সিদ্ধান্ত হয়। এ সময় চা-শ্রমিকরা এর সঙ্গে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রত‍্যাহার করেন। কিন্তু পরের দিন চা শ্রমিকরা সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন অব্যাহত রাখেন। 

শ্রীমঙ্গলের কালিঘাট চা-বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি অবাং তাঁতি বলেন, নেতাদের কথা আমরা বিশ্বাস করি না। আমরা চাই প্রধানমন্ত্রী নিজে আমাদের বলেন, আমাদের মজুরি বাড়বে। প্রধানমন্ত্রী না বলা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন থেকে ফিরব না। 

বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি উজশজলা পানিকা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আন্দোলন এখন আর আমাদের হাতে নেই। সাধারণ চা-শ্রমিকরা মাঠে নেমে গেছেন। তারা এখন আর আমাদের কথা শুনছেন না। 

ওমর ফারুক নাঈম/এসপি