কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের দ্বীপের মতো দেখতে একটি গ্রাম দক্ষিণ ভগবতীপুর। গ্রামে ১৫০টি পরিবারের বসবাস। এবার এই গ্রামে ঈদের দিন কোনো পশু কোরবানি হয়নি। এ কারণে ঈদের দিন কারও মুখে এক টুকরো মাংসও উঠেনি। এটাই বুঝি দেশের একমাত্র গ্রাম যেখানে কোরবানির দিন মাংস খাওয়ার সুযোগ হয়নি গ্রামের কোনো মানুষের।

এ খবর জানার পর গত ১২ জুলাই দেশের শীর্ষ অনলাইন নিউজপোর্টাল ঢাকা পোস্টে এক টুকরো কোরবানির মাংস জোটেনি যে গ্রামে শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদটি ওই দিনই নজরে আসে স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন ডু সামথিং ফাউন্ডেশনের। এরপর থেকে সংগঠনের সদস্যরা ওই গ্রামের ১৫০ পরিবারের মাঝে মাংস দেওয়ার একটা উদ্যোগ হাতে নেয়। এরপর তারা গরু কেনে ওই গ্রামে নিয়ে যায়। 

অবশেষে মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) যাত্রাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ভগবতীপুর গ্রামের ১৫০টি পরিবারকে এক কেজি মাংস, ২ কেজি চাল, আধা লিটার তেল, ১ কেজি আলু এবং মশলা দেওয়া হয়। 

দীর্ঘদিন পর মাংসসহ এসব খাদ্য সামগ্রী পেয়ে দারুণ খুশি হয়েছেন এলাকার মানুষজন। মাংস পেয়ে ঈদের খুশি বিরাজ করছে শিশুদের মাঝেও। 

এ বিষয়ে ডু সামথিং ফাউন্ডেশনের সভাপতি ডা. নাজমুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, এমন সংবাদ দেখার পর মনের ভেতরে একটি যন্ত্রণা অনুভব করছিলাম। চরের দরিদ্র মানুষগুলোর জন্য মাংসের ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত মন স্থির হচ্ছিল না। অবশেষে টাকার ব্যবস্থা হয় এবং একটি বড় গরুও ক্রয় কেনা হয়। এরপর গরুটি জবাই করে ভগবতীপুর গ্রামের ১৫০টি পরিবারের মাঝে মাংসসহ অন্যান্য খাবার সামগ্রীও দেওয়া হয়।  

এমএএস