টেকনাফে এক জালে ধরা পড়লো ১৫ মণ লাল কোরাল
বঙ্গোপসাগরের টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপে এক জালে প্রায় ১৫ মণ ওজনের ২০০টি লাল কোরাল মাছ ধরা পড়েছে। সোমবার (২২ আগস্ট) দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার মিস্ত্রিপাড়ার বাসিন্দা মো. আতাউল্লাহর ট্রলারে বঙ্গোপসাগরের ‘৯ বাইন’ এলাকায় মাছগুলো ধরা পড়ে। একেকটি মাছের ওজন সাড়ে তিন থেকে পাঁচ কেজি।
মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে মাছগুলো শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়া ঘাটে নিয়ে আসা হয়। শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়া ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আইয়ুব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
ট্রলারের মাঝি মো. আবদুর রশিদ বলেন, সোমবার দুপুরের দিকে ১০ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে তারা সাগরে মাছ ধরতে যান। রাতে সাগরের ‘৯ বাইন’ এলাকায় জাল ফেলেন। রাত ৩টার দিকে জেলেরা জাল টেনে তুলতেই দেখতে পান, বড় বড় লাল কোরাল ধরা পড়েছে। পরে ট্রলারে জাল তুলে দেখা যায়, সাড়ে তিন থেকে পাঁচ কেজি ওজনের ২০০টি লাল কোরাল ধরা পড়েছে। মাছগুলোর ওজন প্রায় ৬০০ কেজি।
ট্রলারের মালিক মো. আতাউল্লাহ বলেন, শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়া ঘাট থেকে অনেকগুলো ট্রলার একসঙ্গে সাগরে মাছ ধরতে গেলেও আমার ট্রলারেই মাছগুলো ধরা পড়েছে। কয়েক দিন আগেও একই ট্রলারে ১১০টি লাল কোরাল ধরা পড়েছিল। প্রতি মণ মাছের দাম ৩৩ হাজার ৩০০ টাকা করে চেয়েছি। নুরুল ইসলাম ও মোহাম্মদ হাসান নামে দুজন ব্যবসায়ী প্রতি মণ মাছ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম বলেছেন। ন্যায্যমূল্য না পেলে বরফ দিয়ে মাছগুলো কক্সবাজার বা চট্টগ্রামে নিয়ে বিক্রয় করব।।
টেকনাফ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, এক জালে ২০০টি লাল কোরাল ধরা পড়ার খবর শুনেছি। সুস্বাদু কোরাল বা ভেটকি মাছের কদর দেশব্যাপী। বঙ্গোপসাগরের গভীর পানির মাছ কোরাল সব সময় হাটবাজারে পাওয়া যায় না। এজন্য মাছের দাম কিছুটা বেশি।
তিনি বলেন, মাছটি সাধারণত ১-৯ কেজি ওজনের হয়। এর বৈজ্ঞানিক নাম Lates calcarifer। এ মাছ উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চল বিশেষত পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দেখা যায়। তাছাড়া এশিয়ার উত্তরাঞ্চল, কুইন্সল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চল ও পূর্ব আফ্রিকার পশ্চিমাঞ্চলেও দেখা যায়।
শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়ার ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আইয়ুব বলেন, এখন সাগরে ইলিশ ধরার মৌসুম হলেও সেভাবে ইলিশের দেখা মিলছে না। গত দুই-তিন দিনে বিভিন্ন ট্রলারে লাল কোরাল ধরা পড়ছে। তাই এলাকার অধিকাংশ ট্রলার কোরাল ধরতে ছুটছে।
সাইদুল ফরহাদ/এসপি