নোয়াখালীতে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১৮৮ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি মামলা করেছে পুলিশ। অপর মামলাটি করেছেন, পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. হেলাল।

এসব মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও প্রায় সাড়ে ৯০০ বিএনপি নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত তিনটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২৯ জনকে।

বুধবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে গ্রেপ্তারদের জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। 

জানা যায়, কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নোয়াখালী প্রেস ক্লাবে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে সদর উপজেলা ও নোয়াখালী পৌরসভা বিএনপি। বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল, যুবদলের ৫০০ থেকে ৭০০ সমর্থক রশিদ কলোনি থেকে মিছিল নিয়ে টাউন হল মোড় পার হয়ে জেলা আওয়ামী লীগের অফিসের দিকে আসতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। 

এ সময় বিএনপির সমর্থকরা পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। তাদের ইটের আঘাতে ৮ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৮ রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিএনপির ৩৩ নেতা-কর্মীকে আটক করে। যাচাই-বাছাই শেষে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। 

তিনি বলেন, গতকাল বিকেলে বিএনপির মিছিল থেকে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলার চেষ্টার ঘটনায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ১০৩ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা করেছেন আওয়ামী লীগের সদস্য মো. হেলাল। এ ছাড়া একই দিন বিকেলে জেলা জামে মসজিদ মোড় ও পৌর বাজার এলাকায় পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর, সরকারি কাজে বাধা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আমি বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেছি।

পুলিশের ওপর হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহীর কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান ঢাকা পোস্টকে বলেন, পুলিশ বিএনপির ওপর হামলা চালায় নাই। বিএনপির নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে আসার পথে পুলিশ তাদের বাধা দিলে উত্তেজনা দেখা দেয়। 

হাসিব আল আমিন/আরআই