জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে ডাকা হরতালে বিভাগীয় নগরীর রংপুরে তেমন সাড়া মেলেনি। অনেকটা ঢিলেঢালাভাবে পালিত হয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা অর্ধদিবসের হরতাল। তবে সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া হরতালের পক্ষে সড়কে সরব দেখা গেছে জোটের নেতা-কর্মীদের।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত সারা দেশের মতো রংপুরেও অর্ধদিবস হরতাল পালন করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। 

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল থেকে রংপুর মহানগরীর প্রধান সড়কে হরতালের সমর্থনে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল ও পিকেটিং করা হয়। এ সময় বিক্ষোভ মিছিল থেকে নগরীর ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও সর্বসাধারণকে হরতাল পালনে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান জোটের নেতারা।

বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন, রংপুুর জেলা বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাসদের জেলা আহ্বায়ক আব্দুল কুদ্দুস, বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন বাবলু, সিপিবি মহানগর সভাপতি সাজেদুল ইসলাম সাজু, বাসদ জেলা সদস্য সচিব মমিনুল ইসলাম, বাসদ (মার্কসবাদী) সদস্য-সচিব আহসানুল আরেফিন তিতু প্রমুখ।

মহানগরীর প্রধান সড়কের মোড়ে পিকেটিং শেষে কাচারি বাজারে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তব্যে জোট নেতারা জ্বালানি তেল, ইউরিয়া সার, পরিবহণ ভাড়াবৃদ্ধি, লোডশেডিং এবং ভোজ্যতেল, চাল, ডাল, আটা, ওষুধসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে সরকারের অনিয়ম, দুর্নীতি জনসম্মুখে উঠে আসছে বলে দাবি করেন। 

সরকারপ্রধানকে রাষ্ট্র পরিচালনার ব্যর্থতার দায় মেনে নিয়ে পদত্যাগের আহ্বান জানান। এ সময় হরতালের নির্ধারিত সময়ে যারা মিছিল-সমাবেশে অংশ নেয় ও রিকশা, দোকানপাট বন্ধ রেখে নানাভাবে হরতাল পালনে সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন জোটের নেতারা।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরআই