কুমিল্লায় খলিলুর রহমান নামে এক ইউপি চেয়ারম্যান কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড পেয়েছেন। জেলার বরুড়া উপজেলায় এ ঘটনা ঘটেছে। কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড পাওয়া চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান বরুড়া উপজেলার ২ নম্বর ভবানীপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান। 

সম্প্রতি ভবানীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমানের কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ডের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন অনেকে। 

দেলোয়ার হোসেন নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে মন্তব্য করা হয়, ‘এই কার্ডটা উনার কি দরকার ছিল? উনি সজ্জন ব্যক্তি শুনেছি। টাকার অভাব নাই, তাই এই কার্ডটা কোনো গরিব কৃষকের নামে ইস্যু করলে ভালো হইতো।’

সোহাগ হোসেন নামে একজন ওই কমেন্টের প্রতিউত্তরে লেখেন, ‘উনি উনার সুবিধার জন্য নেন নাই, এই কার্ডটা দিয়ে ইউনিয়নের উন্নয়নের স্বার্থে ৩২ লাখ টাকা দিয়ে একটি ধান কাটার মেশিন কিনবেন, এবং সরকারি অনেক সুযোগ-সুবিধা দিতে হলে উনাকে আগে কৃষি কার্ড করতে হবে।’ 

জানা গেছে, ভবানীপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান গত বছরের ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি দীর্ঘদিন সৌদি আরবে প্রবাস জীবন কাটিয়েছেন। প্রবাসে থাকা অবস্থায় গড়েছেন অঢেল সম্পদ। প্রত্যন্ত গ্রামে তার রয়েছে ডুপ্লেক্স আলিশান বাড়ি। কৃষক না হয়েও তিনি কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড পাওয়ায় সমালোচনা চলছে। 

এ বিষয়ে জানতে ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

বরুড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, এই কার্ড পেতে হলে প্রথমে কৃষক হতে হয়। তিনি চেয়ারম্যান কিংবা এমপি সেটা পরের বিষয়। কৃষক হলেই যে কেউই এই কার্ড নিতে পারেন। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, এই কার্ড বিতরণ বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। তবুও কীভাবে চেয়ারম্যান কার্ড পেলেন বিষয়টি খতিয়ে দেখব। আর এই কার্ডের মাধ্যমে আমরা কৃষকদের তেমন উপকার করতে পারছি না ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা ছাড়া। একজন চেয়ারম্যানও কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড পেতে পারেন, যদি তিনি কৃষক হন।

আরিফ আজগর/আরএআর