নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বরিশালে অর্ধদিবস হরতাল পালন করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সফলভাবে হরতাল কর্মসূচি পালন করেন তারা। নেতা-কর্মীরা মিছিলসহ নগরীর জেলখানার মোড়, কাককির মোড়, গীর্জা মহল্লাসহ শহরের প্রধান প্রধান সড়ক অবরোধ করে জ্বালানি তেল, ইউরিয়া সার, নিত্যপণ্যের দাম ও পরিবহন ভাড়া কমানোর দাবি জানান।

হরতাল চলাকালীন সড়‌কে মানু‌ষের যাতায়াত ছিল হাতেগোনা। শহরের মূল সড়কে গাড়ি চলাচল না করায় মানুষজনকে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। যদিও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেন দোকানিরা।

সমাজতা‌ন্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নেতা বিজন সিকদার বলেন, সরকার একদিকে উন্নয়নের ডামাডোল পেটাচ্ছে, অন্যদিকে দেশ পরিচালনার জন্য আন্তর্জাতিক ব্যাংক থেকে ঋণের আবেদন করছে। এই যাঁতাকলে পড়ে মেহনতী মানুষ জীবন যাপন করতে পারেছেন না। এই অবস্থায় আর দেশ চলতে দেওয়া যায় না। তিনি বলেন, হরতালে মানুষের কিছুটা দুর্ভোগ হলেও সাধারণ মানুষ এই হরতালে সমর্থন দিয়ে সফল করেছে।

রূপাতলীর ব্যবসায়ী ইউনুস বলেন, দ্রব্যমূল্যের যে অবস্থা তাতে সব ব্যবসায়ীদের উচিত হরতালে অংশ নেওয়া। এতে আমার সমর্থন রয়েছে। মানুষ এখন অনেক কষ্টে আছেন। এই অবস্থার পরিবর্তন দরকার।

বাংলাবাজারের একজন পণ্য ক্রেতা আব্দুল আলিম বলেন, মানুষের জন্য সরকার মোটেও কাজ করছে না। তারা ব্যবসায়ীদের জন্য কাজ করছে। যে কারণে কথায় কথায় দাম বাড়ানো হলেও সরকার কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। 

আমি হরতাল সমর্থন করি। শুধু আমি না, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও চায় দাম কমানো হোক। দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হোক। তারা মুখে বলতে পারে না। মানুষকে এভাবে কষ্ট দিয়ে দেশ চালানো উচিত না। 

সৈয়দ মেহেদী হাসা/আরআই