খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় দলের ১৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার পথের বাজার এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপি আজ বিকেলে পথের বাজার সংলগ্ন সেনহাটী লুৎফরের বটতলায় জ্বালানি তেলসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। নির্ধারিত স্থানে সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পথের বাজার অতিক্রম করার সময় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। 

এ সময় পথের বাজার দলীয় অফিস এলাকায় উভয়ের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের ৬ জন এবং বিএনপির ৯ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এর প্রতিবাদে খুলনা জেলা বিএনপি আজ রাত ৮টায় সংবাদ সম্মেলন করে। তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ তোলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দিঘলিয়া উপজেলা বিএনপির সমাবেশ সফলভাবে শেষ হওয়ার পর ফেরার পথে নগরঘাট এলাকায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হামলায় জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোল্লা খায়রুল ইসলামসহ ৯ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উল্টো দিঘলিয়া উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কুদরতে ইলাহী স্পিকার ও জেলা যুবদলের যুগ্ম-সম্পাদক নাসিম আহমেদ নাসিমকে আটক করে পুলিশ। 

অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি নিশ্চিতকরণ, আটক যুবদল-ছাত্রদল নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছে খুলনা জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।

প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তৃতা করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান ও সদস্য সচিব এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পী। অন্যদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার (২৬ আগস্ট) বেলা ১১টায় দিঘলিয়া উপজেলার দিঘলিয়া ফেরিঘাটের পাশে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে আওয়ামী লীগ।

দিঘলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খান নজরুল ইসলাম বলেন, বিকেলে বিএনপির কর্মসূচি ছিল। আমাদের নেতা-কর্মী পথেরবাজার দলীয় কার্যালয়ের সামনে বসে ছিল। এ সময় বিএনপির মিছিল থেকে আমাদের নেতা-কর্মীদের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। 

পরে দিঘলিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শেখ মনিরুল ইসলামসহ ৬ জন মারাত্মক আহত হন। বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলার পর তাদের প্রতিহত করা হয়। দলের আহত নেতা-কর্মীদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান বলেন, বিএনপির পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ বিকেলে দিঘলিয়ায় বিক্ষোভ ছিল। কর্মসূচির আগে ও পরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। তাদের নেতা-কর্মীরা বিএনপি নেতা-কর্মীদের রপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় জেলা বিএনপির নেতা খায়রুল ইসলামসহ ৯ জন আহত হয়েছে। তাদের বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

মোহাম্মদ মিলন/আরআই