ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার পদুয়ার বাজার এলাকায় হোটেল নূরজাহানের অবস্থান। এখানে যাত্রাবিরতি নেন  দূরপাল্লার বাসের যাত্রীরা। যাত্রাবিরতির যাত্রীদের অন্যতম আকর্ষণ করে ব্যতিক্রম এক চিত্র। হোটেল নূরজাহানের পশ্চিম পাশে দাঁড়ানো শতবর্ষী মাঝারি আকারের একটি বড়ই গাছে সন্ধ্যা হলেই বসতি গড়ে কমপক্ষে ৪-৫ হাজার চড়ুই পাখি। 

জানা গেছে, গাছে পাতার থেকে চড়ুই পাখির সংখ্যা বেশি। ওই গাছে পাতার মতো ছড়িয়ে থাকা চড়ুই বাড়তি আনন্দ দেয় যাত্রীদের। 

স্থানীয় কনফেকশনারি দোকানদার জাকির হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত ৫-৬ বছর আগে হঠাৎ করেই এক দিন বড়ই গাছে চড়ুই পাখিরা ভিড় করে। তারপর থেকে দৈনিক পাখির মেলা বসে। তবে শুধু রাতের বেলায় তারা থাকে, সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কোথায় যেন চলে যায়। তবে তারা কোথা থেকে আসে আর ভোর হলে কোথায় চলে যায়, তা কেউ জানে না। 

তারা গত ৫-৬ বছর এই বড়ইগাছে রাতের বেলা বসতি গড়লেও করোনার দুই বছর আসেনি। এ দুই বছর পাখিগুলো কোথায় ছিল, কেউ সে খবর বলতে পারবে না। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর হোটেল নূরজাহান পুনরায় চালু হওয়ার পর থেকেই আবার চড়ুইরাও আসতে শুরু করে। ক্লান্ত যাত্রীদের মনে আনন্দের সঞ্চার করা পাখিগুলো সংরক্ষণ করলে আরও বাড়তি আনন্দ আসবে এখানকার আগন্তুকদের মনে, এমনটাই প্রত্যাশা যাত্রাবিরতিতে নামা যাত্রীদের। 

রাশেদ হোসেন নামে এক দর্শনার্থী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি ময়মনসিংহ থেকে বান্দরবানে যাতায়াত করি গত ৮ বছর ধরে। হোটেল নূরজাহানে যাত্রাবিরতি নেই। ৫-৬ বছর ধরে রাতে বড়ইগাছে চড়ুই পাখি দেখি। ক্লান্তি দূর হয়। খুব ভালো লাগে। পাখিগুলো সংরক্ষণ করলে আরও বেশি দর্শনার্থী আসবে বলে জানান তিনি। 

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশিস ঘোষ ঢাকা পোস্টকে বলেন, হোটেল নূরজাহানের ওখানে একটি বড়ইগাছে চড়ুইদের ঝাঁক আসার খবর শুনেছি। উপজেলা প্রশাসন থেকে পাখিগুলো রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে ভাবা হবে। যা যা করা দরকার সব করা হবে।

এসপি