না ফেরার দেশে চলে গেলেন সবার প্রিয় ও সদা হাস্যোজ্জ্বল মানুষ শাহাদাৎ হোসেন (৫৩)। শুধু হাসিমুখ ও ভালোবাসা দিয়ে যিনি জয় করেছিলেন জেলার লাখো মানুষের হৃদয়। তাই এই মানুষটির মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে জেলাজুড়ে। সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকেও তার মৃত্যুতে দলমত নির্বিশেষে সবাই শোক জানিয়ে পোস্ট দিয়েছেন।

সোমবার (২৯ আগস্ট) বিকেল ৪টায় দিনাজপুর জিয়া হার্ট ফাউন্ডেশনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। 

শাহাদাৎ হোসেন ঠাকুরগাঁও পৌরশহরের ফকিরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও ২ মেয়ে রেখে যান। আন্তঃদেশীয় পরিবহন সার্ভিস নাবিল পরিবহনের ঠাকুরগাঁও কাউন্টারের ম্যানেজার পদে চাকুরি করতেন তিনি। এ ছাড়া ঠাকুরগাঁও জেলা মটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

সাধারণ জীবনযাপন করা শাহাদাত হোসেনকে বাবা বলেই সম্বোধন করতেন জেলার প্রায় হাজারো যুবক। নিজের কোনো ছেলে সন্তান না থাকলেও জেলা জুড়ে তার ছিল হাজারো সন্তান। বন্ধুর মতো কাছে টেনে পিতার স্নেহে পাশে থাকার কারণেই জেলার সব যুবক সমাজের কাছে অতীব প্রিয় মানুষ ছিলেন তিনি। তাই শাহাদাৎ হোসেনের মৃত্যুতে দলমত নির্বিশেষে শোক প্রকাশ করেছেন জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। 

এ ছাড়া সবার বিপদে উপকার করার জন্য সবসময় তিনি এগিয়ে থাকতেন। মানুষের উপকার করার লোভেই ছুটে বেড়াতেন সারাদিন। সেজন্য তিনি সবার কাছে অনেক ভালোবাসার মানুষ ছিলেন।

ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান পরিবারের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানিয়ে বলেন, শাহদাৎ একজন পরোপকারী ব্যক্তি ছিলেন। তার মৃত্যুতে দলের পক্ষ থেকে শোক জানাচ্ছি।

জেলা মটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জব্বার শোক জানিয়ে বলেন, তিনি এমন একজন নেতা ছিলেন যিনি দলমত নির্বিশেষে মানুষের উপকারের জন্য এগিয়ে যেতেন। এমন মানুষ আমরা হারালাম যার অভাব পূরণ সম্ভব নয়।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাদেক কূরাইশী পরিবারের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানান। তিনি বলেন, দলমতেরর ঊর্ধ্বে ছিলেন শাহাদাৎ। প্রতিটি মানুষের কাছে অনেক প্রিয় ছিলেন তিনি। খুব অল্প সময়ে আমরা তাকে হারালাম। এমন মানুষের জান্নাত কামনা করি।  

এ ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে জেলার সবাই তার মৃত্যুতে সমবেদনা জানিয়ে পোস্ট দিচ্ছেন। 

এম এ সামাদ/আরআই