বরিশাল নগরীতে অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে অভিযান শুরু করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। অভিযানকালে ৩টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া জরিমানা করা হয়েছে আরও একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হুমায়ুন শাহীন খানের নেতৃত্বে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। 

বন্ধ করে দেওয়া ৩টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে পাঁচ হাজার টাকা করে সর্বোমোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিযানে উপস্থিত থাকা জেলার সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু রিয়াদ।

বন্ধ করে দেওয়া অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো হলো- রয়েল সিটি সেন্টার, বরিশাল সিটি সেন্টার এবং সাইন্স ল্যাব। এ ছাড়া জরিমানা করা অপর প্রতিষ্ঠানের নাম সুলতানা ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হুমায়ুন শাহীন খান বলেন, আমরা অভিযান শুরু করেছি। বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় প্রায় আটশর মতো ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। নগরীতে অভিযান শুরু করেছি। জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে সিভিল সার্জন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা অভিযান পরিচালনা করবেন।

তিনি বলেন, বরিশাল সিটি সেন্টার নামে যে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সেটির লাইসেন্স আছে ‘সি’ ক্যাটাগরির। কিন্তু সেখানে সিটি স্ক্যান করা হয়। সিটি স্ক্যানের জন্য ‘এ’ ক্যাটাগরির লাইসেন্স থাকতে হবে। সেটা দেখাতে না পারায় প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সুলতানা ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি ‘সি’ ক্যাটাগরির হলেও সেখানে হরমন টেস্ট করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী হরমন পরীক্ষার জন্য ‘এ’ ক্যাটাগরির লাইসেন্স থাকতে হবে। সেটা না থাকায় সুলতানা ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। 

এ ছাড়া হাসপাতালের পূর্ব পাশে সাইন্সল্যাব নামক ডায়াগনস্টিক সেন্টারটির কোনো কাগজপত্রই নেই। সে কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাসহ পুরোপুরিভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরআই