পুলিশ সদস্যের মানবসেবা
বান্দরবানের নাজমা আক্তার। স্বামী কাউসার হামিদ ক্যান্সারের রোগী। মা প্যারালাইজড। এ অবস্থায় দিশেহারা হয়ে পড়েন তিনি। সন্তান দুটিকে সঙ্গে নিয়ে অসহায় হয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন মানুষের দুয়ারে দুয়ারে। হাতে তুলে নিয়েছেন ভিক্ষার থালা।
বান্দরবানের পুলিশ লাইনে কর্মরত মেহেদি হাসান দোলনের সঙ্গে কথা হয় নাজমা আক্তারের। তার দুঃখের কথা শুনে আবেগ আপ্লুত হন তিনি। এরপর নাজমা আক্তারকে ভিক্ষা করতে হয়নি। তাকে স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ নেন দোলন। বান্দরবান সদরের ট্রাফিক মোড়ে করে দেন একটি ভ্রাম্যমাণ দোকান। দোকানের নাম দেয় মানবিক স্টোর।
বিজ্ঞাপন
দোকানে চা, নাস্তা, ফল এবং সবজি বিক্রি করে জীবিকানির্বাহ করছেন নাজমা। অসুস্থ স্বামীর চিকিৎসা, সংসারের খরচ, সন্তানের লেখাপড়াসহ পরিবারের আর্থিক চাহিদা মেটাচ্ছেন তিনি।
নাজমা আক্তার বলেন, পুলিশ সদস্য দোলন ভাইয়ের সহযোগিতায় সংসারে অভাব-অনটন কমে গেছে।দোকানের আয় দিয়ে স্বামী-সন্তান এবং অসুস্থ মাকে নিয়ে আগের থেকে ভালো আছি।
পুলিশ সদস্য দোলন বলেন, অসহায় মানুষের সেবা মহৎ কাজ। এই কাজের মাধ্যমে পাওয়া যায় শান্তি; আত্মতৃপ্তি।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে আর্থিক সমস্যায় ছিলো কর্মহীন ও খেটে খাওয়া মানুষ। এই দুর্দিনে সহায়তা নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। বেতন থেকে জমানো টাকা দিয়ে মানবিক কাজ করে যাচ্ছি। এর থেকে পরম তৃপ্তি কি আছে?
বান্দরবানের 'মানবিক' সংগঠনের সংগঠক মবিনুল ইসলাম জিকু বলেন, পুলিশের এমন উদারতার অনেক ঘটনা মিলছে। এসব উদারতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় আমরা কি একটু মানবিক মানুষ হতে পারি না?
এসপি