নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের জন্য প্রস্তুত করা মঞ্চ ভাঙচুরসহ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ অবস্থায় বিএনপির সম্মেলনটি পণ্ড হয়ে যায়।

শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বারহাট্টা উপজেলা সদরের গোপালপুর ফায়ার সার্ভিস মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনার সময় ওই স্থানে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের কোনো ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।

স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, বারহাট্টা উপজেলার বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠানের জন্য শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) উপজেলা সদরের গোপালপুর ফায়ার সার্ভিস মোড় এলাকায় মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়। বিকেল ৩টার দিকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. মো. আনোয়ারুল হকের এ সম্মেলন উদ্বোধন করার কথা ছিল। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেওয়ার কথা ছিল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত) সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখার কথা ছিল ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ারেছ আলী মামুনের।

বারহাট্টা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. মোস্তাক আহমেদ জানান, সম্মেলন সফল করতে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করার পর দুপুর ১টার দিকে বারহাট্টা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাঈনুল হক কাশেমের নেতৃত্বে দলীয় নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা হাতে নিয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। একপর্যায়ে তারা গোপালপুর বাজারের ফায়ার সার্ভিস মোড় এলাকায় বিএনপির সম্মেলন স্থলে এসে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। তবে এসময় সেখানে বিএনপির তেমন নেতাকর্মী না থাকায় কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।

পরে বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. মো. আনোয়ারুল হক বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমাদের সম্মেলন মঞ্চ ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে সম্মেলনটি পণ্ড করে দিয়েছে। এই হচ্ছে আওয়ামী সরকারের আসল চেহারা। আমরা এ ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

বারহাট্টা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাঈনুল হক কাশেম বলেন, বিএনপির নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে আমার নেতৃত্বে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের হয়েছিল। পরে খবর পাই স্থানীয় বিএনপি উপজেলার ফায়ার সার্ভিস মোড়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে জড়ো হচ্ছে। এ কারণেই আমরা মঞ্চটি ভেঙে দিয়েছি। বারহাট্টায় কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও নৈরাজ্য করতে দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে কথা হলে বারহাট্টা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফুল হক বলেন, এ ঘটনায় থানা কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি।

মো. জিয়াউর রহমান/এসএসএইচ