বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রশিদসহ ১৫ জনের নামে মামলা করেছেন হামলার শিকার বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজের রাজশাহী প্রতিনিধি বুলবুল হাবিব। সোমবার (০৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর রাজপাড়া থানায় মামলাটি করা হয়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ভান্ডার রক্ষক মো. জীবন, অফিসের পিয়ন মো. সেলিম, ইডির ব্যক্তিগত সহকারী নুরুল ইসলাম, আনসার সদস্য মো. এনামুল এবং গাড়িচালক আব্দুস সবুর। এই মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৮-১০ জনকে।

গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে গুরুতর জখম, ক্ষতিসাধন, চুরি ও হুকুম দেওয়ার অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ আইনত ব্যবস্থা নিচ্ছে।

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সংবাদ সংগ্রহের জন্য ক্যামেরাপারসন রুবেল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে সকাল পৌনে ৮টার দিকে বুলবুল হাবিব বিএমডিএ দপ্তরে যান। সকাল ৮টার দিকে তারা ভিডিও ফুটেজ নেওয়া শুরু করেন।

সকাল সোয়া ৮টার দিকে দপ্তরে আসেন ইডি আব্দুর রশিদ। গাড়ি থেকে নেমেই তিনি তেড়ে আসেন এবং ধাক্কা দিয়ে অফিস চত্বর থেকে বের করে দিতে অন্য আসামিদের নির্দেশ দেন।

তাৎক্ষণিক অন্যান্য আসামি তাকে ঘিরে ধরেন। তখন সরাসরি সম্প্রচার চলছিল। ওই অবস্থায় আসামিরা ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে ভাঙচুর করেন। এরপর হাতুড়ি দিয়ে ক্যামেরাপারসন রুবেলের মাথা ও ডান কানে আঘাত করেন। তার মুখে আধলা ইট দিয়েও আঘাত করা হয়। 

হত্যার উদ্দেশ্যে গলা চেপে ধরেন আসামিরা। তাকেও এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। কাছে থাকা বুম ভেঙে ফেলেন। এই ঘটনায় আড়াই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া দুজনের কাছে থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন।

এই ঘটনার পর দোষীদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নামেন সাংবাদিকরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত মো. জীবন ও আব্দুস সবুরকে সোমবার বিকেলে সাময়িক বরখাস্ত করে বিএমডিএ কর্তৃপক্ষ। তবে অন্যদের বিরুদ্ধে এখনো ব্যবস্থা নেয়নি। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন চেয়ারম্যান বেগম আখতার জাহান।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এসপি