জমি নিয়ে বিরোধ ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের বৈষ্ণব দাস গ্রামের মো. জাহিদুল ইসলাম অন্যদের সঙ্গে মিলে তার বাবা সেকেন্দার আলী বাদশাকে হত্যা করেছেন। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্তে এমন চাঞ্চলকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গাইবান্ধা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এআরএম আলিফ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। 

তিনি বলেন , জমি নিয়ে বিরোধের কারণে প্রতিপক্ষ পাঁচ প্রতিবেশির বিরুদ্ধে মামলা করেন জাহিদুল ইসলাম। সে সময় তিনি প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে হত্যার হুমকিরও অভিযোগ করেন। ২০১৮ সালের ৪ মে সকালে বাদী জাহিদুল ইসলামের বাবা মো. সেকেন্দার আলী বাদশা বাড়ির পাশে খুন হন। পরবর্তীতে পিবিআই তদন্ত করে জানতে পারে এ ঘটনার সঙ্গে পাঁচ প্রতিবেশী নয়, তার নিজের ছেলে জাহিদুল এবং একই এলাকার মো. জামাত আলী, মো. আব্দুল মান্নাফ ও  মো. আবুদল আজিজ জড়িত। পিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার মো. জামাত আলী বিষয়টি স্বীকার করেন। চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন ।

পুলিশ সুপার বলেন, ছেলের পরিকল্পনা অনুযায়ী ওই চার আসামি সেকেন্দার আলী বাদশাকে একটি বাঁশঝাড়ে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালালে তিনি জ্ঞান হারান। তাকে মৃত ভেবে আসামিরা চলে গেলেও পর দিন কৌতূহলবশত বাঁশঝাড়ে ফিরে গিয়ে বাদশাকে মুমূর্ষু অবস্থায় দেখেন। এ সময় স্থানীয় এক ব্যক্তি তাদের দেখে ফেললে তারা বাদশাকে সংকটজনক অবস্থায় নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এরপর ছেলে বাদী হয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মামলা করেন। 

সংবাদ সম্মেলন চলাকালে নিহতের ছেলে জাহিদুল ইসলাম ও আরেক আসামি মো. আব্দুর আজিজকে সাংবাদিকদের সামনে আনা হয়।

রিপন আকন্দ/আরএআর