আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, নির্বাচনের সময় আইন ও নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন যদি সঠিকভাবে হয়, বাংলাদেশের মানুষ সব সময় সেখানে উৎসবমুখর পরিবেশে অংশগ্রহণ করে। কোনো একটি বা দুটি দল হতে পারে সেগুলো বড় দল। তারা যদি যৌক্তিক কারণ ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকে, অতীতে আমরা দেখেছি- জনগণ সেই দলের মতামতকে খুব একটা প্রাধান্য দেয় না। 

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চাঁদপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অতীতে কয়েকটি বড় নির্বাচনে আমরা দেখেছি জনগণ উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। একটি দুটি বড় দল অংশ নেয়নি, তবে ভালো নির্বাচন হয়েছে। আগামী নির্বাচনে আমরা আশা করি সকল দল, যারা নির্বাচন করার যোগ্য তারা অংশগ্রহণ করবে এবং ভালো নির্বাচন হবে। নির্বাচনের সকল ব্যবস্থা থাকার পরও যদি কোনো দল না আসে সেটি তাদের রাজনৈতিক অধিকার। তবে আমরা চাই সকলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হোক। কিন্তু কেউ যদি শুধুমাত্র নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে, তাহলে তাদেরকে তো ধরে বেঁধে নিয়ে আসার কোনো সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, নির্বাচনের ব্যবস্থাগুলো করবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে একটি অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যা যা প্রয়োজন হবে সেই সহযোগিতা করবে সরকার। কমিশন যেখানে সিদ্ধান্ত নেবে সেখানে ইভিএম ব্যবহার হবে। নির্বাচন কমিশন সকল দলের সঙ্গে আলোচনা করছে। সকল দল একেবারে এক হতে পারবে কোনো একটা বিষয়ে, এটি বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে সম্ভব বলে মনে হয় না। কারণ কিছু কিছু রাজনৈতিক দল আছে, যারা বিরোধিতা করবেন বলেই বিরোধিতা করেন।

এ সময় চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইমতিয়াজ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আসিফ মহিউদ্দিন, চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদসহ আওয়ামী লীগ,  যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

আরএআর