ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়ায় আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় রুহিয়া থানায় মামলা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় রুহিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি পার্থ সারথী সেন বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২০ জনের নাম উল্লেখ করে ৪০/৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

মামলা পর রুহিয়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে নওশাদ আলী (৪৫) ও ইসমাইল হোসেন (৫২) নামে দুইজনকে আটক করেছে। 
 
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়েছে, ঘটনার দিন রুহিয়া থানা মহিলা লীগের প্রতিবাদ, বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের আয়োজন করা হয়। বিষয়টি সেখানে ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসে। এ কারণে বিএনপি, জামায়াত বাহিনী মহিলা আ.লীগের সমাবেশ বানচালের উদ্দেশ্যে তাদের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে পিস্তলসহ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে আ.লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনের বাড়িতে হামলা চালায়।

এ সময় তারা থানা আ.লীগের সভাপতি পার্থ সারথী সেনের অটোরাইস মিলেও হামলা চালিয়ে প্রায় ১ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে। এ সময় স্থানীয়রা তাদের আটকাতে গেলে জনসাধারণকেও বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে সন্ত্রাসীরা। এতে বেশ কয়েকজন আহতও হন। 

মামলার আসামিরা হলেন, আনসারুল হক (৫৫), মাসুদ পারভেজ (৪০), শহিদুল হক (৫৩), নুরুজ্জামান (৪০), মাঈন উদ্দিন (৪৫), রুহুল আমিন (৪৫), নুর জামান বিপ্লব (৪৭), মো. মিলন (৩৫), জয়নুল হক (৪৫), রফিকুল ইসলাম (৪৫), জাহেরুল ইসলাম (৪০), আহসানুল হক (৪৬), মো. আব্বাস আলী (৪৫), মো. ফরহাদ হোসেন (২৬), মো. নওশাদ আলী (৪৫), মো. তোফাজ্জল হোসেন (৩৫), মো. ইয়াসিন আলী (৪২), মো. আমান (২৪) মো. সুজনসহ (২৪) অজ্ঞাতনামা ৪০/৫০ জন।

মামলার বিষয়ে রুহিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা ঢাকা পোস্টকে বলেন, সেদিনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 
 
প্রসঙ্গত, গত শনিবার দুপুরে রুহিয়া থানা মহিলা আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ, বিক্ষোভ ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়। একই সময়ে বিএনপির পক্ষ থেকেও তেল, জ্বালানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হলে উত্তেজনা দেখা দেয়। এসময় সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ উভয়পক্ষের প্রায় ৩০ জন আহত হন। পুলিশ ৪ রাউন্ড টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। 

এম এ সামাদ/এমএএস