পাবনার বেড়া উপজেলায় তিনটি গ্রামে তাণ্ডব চালিয়েছে একদল শিয়াল। তাদের তাণ্ডবে তিন গ্রামের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর। তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ফাতেমা তুজ জান্নাত। এর আগে বুধবার রাতে উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নের বাটিয়াখড়া, রাকসা সোনাপদ্মা ও চকপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

আহতরা হলেন- আব্দুল কাদের (৬০), লাল্টু (৫৫), ওয়াজেদ (৩০) জুয়ারা খাতুন (৪২), জেসমিন (১৪), রঞ্জনা (২৫), নিলয় (৭), রাবেয়া (৯), রেহেনা (৪৫), রাজিয়া, কালু মিয়া (৬০), সামছুল ইসলাম (৪০) ও আবু মুসা (২৬)। বাকিদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। 

এলাকার অনেকেই জানান, রাত ৮টার দিকে তখন বিদ্যুৎ ছিল না। বাটিয়াখড়া গোরস্থান থেকে একদল শিয়াল প্রথমে ওই গ্রামে আক্রমণ করে। তাদের আক্রমণে বেশ কয়েকজন আহত হয়। এ সময় গ্রামবাসীর প্রতিরোধে শিয়ালের দলটি পার্শ্ববর্তী রাকসা সোনাপদ্মা ও চকপাড়া গ্রামে আক্রমণ করে। সেখানেও নারী ও বৃদ্ধাসহ বেশ কয়েকজনকে কামড়ে আহত করে। সেখানকার লোকজন প্রতিরোধ করলে শেয়ালের দলটি পালিয়ে যায়। তবে একটি শিয়াল গ্রামবাসীর হাতে ধরা পড়লে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়।

বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ফাতেমা তুজ জান্নাত বলেন, এ পর্যন্ত ৫ জন হাসপাতালে এসে জলাতঙ্ক রোগের ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। তবে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিনের স্বল্পতা থাকায় বাকি রোগীদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু দাউদ হোসেন জানান, শিয়ালের আক্রমণের ঘটনার বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। আহতদের দ্রুত ভ্যাকসিন নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে বেশ কয়েকজন ভ্যাকসিন নিয়েছেন। বাকিদেরও দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

রাকিব হাসনাত/এমএএস