কেশবপুর পৌরসভায় ইভিএমে ভোটারদের ফিঙ্গার প্রিন্ট মিলছে না বলে অভিযোগ উঠেছে

যশোরের কেশবপুর পৌরসভায় প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক্স ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে অনেক কেন্দ্রেই ইভিএমে ভোটারদের ফিঙ্গার প্রিন্ট মিলছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভোটাররা। 

তবে প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা বলছেন, এমন ঘটনা স্বাভাবিক। ভোটারের পরিচয় শনাক্ত হলেই তাদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

রোববার সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সরেজমিনে বেশিরভাগ কেন্দ্রেই এ সমস্যা দেখা গেছে। কোনো কোনো ভোটার ৫ মিনিট সময় ব্যয় করেও তার ফিঙ্গার প্রিন্ট যাচাই করতে পারেননি। 

অন্যদিকে অভ্যাস না থাকায় ঠিকমতো ইভিএমে ভোট দিতে পারছেন না ভোটাররা। অনেক ক্ষেত্রেই ভোট না দিয়ে চলে যাচ্ছেন।

কেশবপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের হাবাশপুর মডেল দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা কুলসুম বেগম জানান, সকাল ৯টার দিকে ভোট দিতে আসেন কেন্দ্রে। কিন্তু কিছুতেই তার আঙ্গুলের ছাপ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) গ্রহণ করছিল না। প্রিসাইডিং অফিসার পরে আসতে বললেন।

কেশবপুর পাইলট বালিকা কেন্দ্রের ভোটার আসাদুল জানান, প্রথমে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার তার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ইভিএমে দেন। তখন আমার ছবিসহ সকল তথ্য কম্পিউটারের মনিটরে ভেসে ওঠে। তথ্য ঠিক দেখালেও চার আঙুলের কোনোটিরই ছাপ ইভিএম মেশিন চিনতে পারেনি। পরে ১০ মিনিট পরে ভোট দিতে পারি। 

হাবাশপুর মডেল দাখিল মাদ্রাসার আরেক ভোটার নিচার আলী। তিনিও ভোট দিতে পারেননি। এ সময় তার চোখে-মুখে বিরক্তির ছাপ ফুটে ওঠে। কী হয়েছে জানতে চাইলে তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আরে ভাই ১০ মিনিট ধরে দাঁড়িয়ে আছি, ভোট দিতে পারেনি। 

এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার নুর আলম জানান, সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। নির্বাচনের সকল বিধিনিষেধ মেনেই ভোটগ্রহণ চলছে। ইভিএমে সবাই নতুন ভোটার। প্রথম দিকে এমন একটু সমস্যা হতেই পারে, পরের বার ভোটে হয়তো এমন সমস্যা হবে না।

কেশবপুর উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকতা ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার বজলুর রশীদ বলেন, কেশবপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়রসহ তিন পদে আওয়ামী লীগ বিএনপিসহ মোট ৫৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কেশবপুর পৌরসভার মোট ভোটার ২০ হাজার ৭৭৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১০ হাজার ৫৬৭ ও পুরুষ ভোটার ১০ হাজার ২০৮ জন।

কেশবপুর উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন জানান, পৌরসভা নির্বাচনে সবগুলো কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। নির্বাচনে সাধারণ ভোটারদের সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানে প্রতিটি কেন্দ্রে ৪জন পুলিশ এবং ৮ জন আনসার এবং একজন ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করছে। এ ছাড়া নির্বাচনী মাঠে পুলিশের স্টাফ ফোর্স, র‌্যাব ও বিজিবির দুইটি করে টিমসহ সাদা পেশাকে প্রশাসনের বিভিন্ন টিম কাজ করছে।

জাহিদ হাসান/এসপি