গাজীপুরের টঙ্গীতে স্বজনদের চেম্বার থেকে বের করে দিয়ে এক রোগীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে হাসিবুল হাসান (৩৭) নামে এক চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে টঙ্গীর হোসেন মার্কেটের আল-কারীম ইসলামী হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি জানাজানি হলে রোগীর স্বজনরা হাসপাতাল ভাঙচুরের চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ও অভিযুক্ত চিকিৎসকক আটক করেন। এ ঘটনায় রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা করা হয়। দুপুরে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।  
 
রোগীর স্বজনরা জানান, হোসেন মার্কেট লেদুমোল্লা সড়কের ওই রোগী দীর্ঘ দুই বছর যাবত হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছেন। শনিবার বিকেলে তিনি অসুস্থবোধ করায় আল-কারীম হাসপাতালের পূর্ব পরিচিত চিকিৎসক সবুজের কাছে যান। তাকে ইসিজিসহ বেশ কয়েকটি টেস্ট দেওয়া হলে তিনি টেস্টগুলো সম্পন্ন করেন। পরে তিনি তার মামাতো ভাই নয়নকে সঙ্গে করে রাত ৯টায় ইসিজিসহ অন্যান্য রিপোর্ট নিয়ে মেডিসিন ও নিউরোলজি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হাসিবুল হাসানের কক্ষে যান। এ সময় ওই চিকিৎসক তার সহকারী বাবলী ও রোগীর মামাতো ভাইকে চেম্বার থেকে বের করে দিয়ে দরজা আটকে দেন। একপর্যায়ে ওই চিকিৎসক রোগীর শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন এবং ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় রোগীর চিৎকারে মামাতো ভাই নয়নসহ আশপাশের লোকজন এগিয়ে যান।

পরে বিষয়টি জানাজানি হলে উত্তেজিত জনতা ওই চিকিৎসককে তার কক্ষে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পশ্চিম থানা পুলিশ রাতে হাসিবুল হাসানকে আটক করে করে থানায় নিয়ে যায়। 

এ বিষয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, এ ঘটনায় রোববার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা হয়েছে। দুপুরে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।  

শিহাব খান/আরএআর