দিনাজপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি স্কুলছাত্র মিনারুল ইসলামের (১৬) মরদেহ চার দিন পর ফেরত দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে দিনাজপুর সদর উপজেলার দাইনুর সীমান্তের ৩১৪/৭ এস পিলারের কাছে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহটি ফেরত দেয় বিএসএফ।

নিহত মিনারুলের চাচাতো ভাই রুবেল হাসান বলেন, সকালে দাইনুর ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যদের মাধ্যমে জানতে পারি বিএসএফের গুলিতে নিহত মিনারুলের মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে। বিকেলে মিনারুলের মরদেহ আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আমরা মরদেহ বাসায় নিয়ে গোসল শেষে বাদ মাগরিব জানাজার পর পারিবারিক করবস্থানে দাফন সম্পন্ন করি।

দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মাওলা বলেন, সদর উপজেলার দাইনুর ক্যাম্পের বিপিওর নায়েক সুবেদার আক্তার হোসেন, কোম্পানি কমান্ডার আনিস হোসেন, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম, আস্করপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক ও  বিএসএফের উপস্থিতিতে নিহত মিনারুলের মরদেহ কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর আগে গত বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে দিনাজপুর সদর উপজেলার দাইনুর সীমান্তে খানপুর গ্রামের কয়েকজন চোরাই পথে দাইনুর সীমান্ত দিয়ে কচ্ছপের শুঁটকি আনতে গেলে ভারতীয় সীমান্তে ভেতরে বিএসএফের গুলিতে মিনারুল ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। সে সদর উপজেলার খানপুর ভিতরপাড়া গ্রামের মাজেদুল ইসলামের ছেলে ও খানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র ছিল। 

এদিকে মিনারুলকে কাজ দেওয়ার কথা বলে চোরাচালানে পণ্য আনার কাজে ব্যবহার করা হয়েছে উল্লেখ করে গত শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর)  সকালে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নিহত মিনারুলের মা মিনারা বেগম। অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার খানপুর গ্রামের সালমান শাহর ছেলে সাগর হোসেন (২২), আতাবুল ইসলামের ছেলে এন্তাজুল হক (৩৪), মৃত আফজাল হোসেনের ছেলে সুমন (৩৫), একই গ্রামের আনিসুর রহমানের ছেলে ফাতাউর রহমান (৩৮) এবং খানপুর ফকিরপাড়া এলাকার হুসেন আলীর ছেলে মোসলেম উদ্দিন (৩০)।

ইমরা আলী সোহাগ/আরএআর