খুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে নগরীর ঘর-বাড়ি, সড়ক, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। ডুবে গেছে রাস্তাঘাটসহ অ‌ধিকাংশ বা‌ড়ির নিচতলা। ঘরের ভেতরে প্রবেশ ক‌রে‌ছে নোংরা পানি। সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতার। ফ‌লে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে‌ছে। দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে এসএসসি পরীক্ষার্থী, অভিভাবক ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, খুলনায় মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত ১টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় ভারী বর্ষণও হয়েছে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল ৬টা থে‌কে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা) খুলনায় রেকর্ড ১৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি আরও দু-একদিন অব্যাহত থাকতে পারে। 

খুলনার রেলগেট এলাকার বাসিন্দা একরামুল হক বলেন, কয়েক দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে গত রাতে খুব বেশি বৃষ্টি হয়েছে। ফলে রেলগেট, কুয়েট রোডসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তা, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ঘর-বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীদের রিকশা-ভ্যানে করে কেন্দ্রে যেতে দেখা গেছে। 

এদিকে খুলনা মহানগরীর খালিশপুর, মুজগুন্নি আবাসিক, বাস্তহারা, রয়েল মোড়, বয়রা, নিরালাসহ অ‌ধিকাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এখানকার বিভিন্ন বাড়িতে পানি প্রবেশ করে নিচতলা নিমজ্জিত। পা‌নি ঢু‌কে‌ছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠা‌নেও। দীর্ঘদিন ধরে ড্রেন নির্মাণের কাজ চলছে অ‌নেক স্থা‌নে। কাজ করার জন্য মাটি ও বালুর বস্তা দিয়ে বেশির ভাগ ড্রেন আটকে দেওয়ার কারণে অবস্থা আরও খারাপ হ‌চ্ছে।

এছাড়া নগরীর পা‌নি যাওয়ার অ‌ধিকাংশ খাল দখল ক‌রে বা‌লু দিয়ে ভরাট করাও নগরী ত‌লি‌য়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ ব‌লে জানা গেছে। ফ‌লে নগরবাসীর আজ দু‌র্ভো‌গের শেষ নেই। কোন‌টি সড়ক আর কোন‌টি জলাশয় চেনার উপায় নেই।

খালিশপুর মুজগুন্নি এলাকার বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম বলেন, রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে। এটাই সম্ভবত বছরের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত। সকালে ওঠে দেখি রাস্তা-ঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। কিছু কিছু নিচু ঘর-বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। অনেক অফিসেও পানি ঢুকেছে। 

মোহাম্মদ মিলন/এসপি