শ্রমিক-কর্মচারীদের চূড়ান্ত পাওনা পরিশোধের দাবিতে অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন মহসেন জুট মিলের শ্রমিকরা। রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপরে খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। মহসেন জুট মিলের সাধারণ শ্রমিক-কর্মচারী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রমিকদের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়। 

প্রতীকী অনশন থেকে আগামী শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় ফুলবাড়ীগেটে শ্রমিক জনসভা ও সভা শেষে খুলনা-যশোর মহাসড়কে থালা-বাটি হাতে নিয়ে ভুখা মিছিলের ঘোষণা দেওয়া হয়। ওই কর্মসূচি থেকে রাজপথ-রেলপথ অবরোধসহ আরও কঠোর কমৃসূচি ঘোষণা করা হবে।  

অনশন চলাকালে শ্রমিক নেতারা বলেন, মহসেন জুট মিলের মালিক জুট মিল দেখিয়ে ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। এরপর সেই টাকা অন্য খাতে ব্যয় করেন। আর শ্রমিকরা তাদের গ্র্যাচুইটি, পিএফ ও মজুরির জন্য দীর্ঘ ৯ বছর ধরে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন পাওনার দাবিতে। মিল কর্তৃপক্ষ শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ না করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিদ্ধান্ত অমান্য করে মিল থেকে ইতোমধ্যে রাতের আঁধারে মালামাল বের করেছে। বর্তমানেও তা অব্যাহত আছে।  

তারা বলেন, সরকারি জুট মিল বন্ধ করার কিছু দিন পর সরকার শ্রমিকদের পাওনা একসঙ্গে পরিশোধ করেছে। অথচ বছরের পর বছর বেসরকারি জুট মিল মালিকরা তাদের কারখানা বন্ধ ও শ্রমিকের চূড়ান্ত পাওনা পরিশোধ না করেও বহাল তবিয়তে রয়েছে। এ অবস্থায় অতিদ্রুত মহসেন জুট মিলসহ সকল বেসরকারি জুট মিলের শ্রমিকদের চূড়ান্ত পাওনা পরিশোধের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। পরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিল কাজী  শরবত পান করিয়ে শ্রমিকদের অনশন ভাঙান। এ সময় তিনি শ্রমিকদের দাবি পূরণে সংশ্লিষ্ট মহলকে উদ্যোগ নেওয়ার জোর দাবি জানান ।

অনশন কর্মসূচি শেষে খুলনা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। মহসেন জুট মিলের সাধারণ শ্রমিক-কর্মচারীদের উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বেসরকারি পাট, সুতা বস্ত্রকল শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি শেখ আমজাদ হোসেন। 

সংগঠনের প্রচার সম্পাদক সাইফুল্লাহ তারেকের পরিচালায় বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল খান, সেকেন্দার আলী, লিয়াকত মুন্সি, আমির মুন্সি, আইনউদ্দিন প্রমুখ। 

মোহাম্মদ মিলন/আরএআর