মেহেরপুরের গাংনীতে চাঞ্চল্যকর তহিদুল ইসলাম ও বাহাজেল হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক কুমার বিশ্বাস এ রায় দেন। 

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বাদল, আলামিন হোসেন ও হাশেম আলী। এদের মধ্যে বাদল কারাগারে রয়েছেন। অন্য দুইজন পলাতক। 

মামলার বিবরণে জানা যায়, মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে তহিদুল ইসলাম গাংনী উপজেলার নওয়াপাড়ায় বাহাজেলের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। ২০০৫ সালের ৫ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে তারা একটি চৌকির ওপর বসে গল্প করছিলেন। এ সময় একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। তাদের দেখে তহিদুল ইসলাম পালিয়ে একটি ঘরের কোণে অবস্থান নেন। সন্ত্রাসীরা তাকে না পেয়ে বাহাজেলকে অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে। পরে তহিদুল ইসলামকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা। পরদিন গাংনী উপজেলার ধলা গ্রামের ভারত সীমান্তে তহিদুলের মরদেহ পাওয়া যায়।

এদিকে বাহাজেলকে প্রথমে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাহাজেলর মৃত্যু হয়।

২০০৫ সালে ৭ জানুয়ারি গাংনী থানায় ১৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন নিহত তহিদুলের ভাই আমিনুল ইসলাম। ওই মামলায় ২০০৫ সালের ৮ মে ১৩ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন গাংনী থানার তৎকালীন এসআই মেজবা উদ্দীন আহম্মেদ ও এসআই আনোয়ার আলম আজাদ। ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত ওই মামলার রায় দেন। 

রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট কাজী শহিদুল ইসলাম ও আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট এ.কে.এম শফিকুল আলম মামলাটি পরিচালনা করেন।  

আকতারুজ্জামান/আরএআর