সাদিয়া বিনতে জাকির পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খাবার খেতে বসেছিলেন দোতলার ডাইনিংয়ে। মোবাইল রাখা ছিল ড্রয়িং রুমে। খাবার শেষ করে এসে দেখেন মোবাইল নেই। বিল্ডিংয়ের পাশের গাছ বেয়ে চোর ওঠে জানালা থেকে ফোন নিয়ে পালিয়েছে। ১৬ আগস্ট এই ঘটনা ঘটলে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তিনি। পুলিশের চেষ্টায় আজ তার মোবাইলটি ফিরে পান।

সাদিয়া বিনতে জাকির বলেন, মোবাইলটিতে পারিবারিক অনেক গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট ছিল। আমি ফিরে পাওয়ায় খুব বেশি খুশি হয়েছি। দামের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট সহকারে ফেরত পেলাম। এজন্য পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই।

শুধু তিনি নয়, এমন ১২ জন শোনালেন তাদের সন্তুষ্টির কথা। মাত্র ৭ দিনের মধ্যে মোবাইল ফিরে পেয়েছেন আগৈলঝাড়ার হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, এর আগে হারানো মোবাইল ফেরত পেয়েছে এমন কোনো ঘটনা আমি জানি না। বরিশালে এবারই প্রথম হারানো মোবাইল উদ্ধারে পুলিশের টিম কাজ করছে এবং আমরা মোবাইলগুলো ফেরত পাচ্ছি।

সহকারী পুলিশ সুপার সুদীপ্ত সরকার বলেন, পুলিশ সুপার স্যার এসে মোবাইল উদ্ধারের উদ্যোগ নিয়েছেন। কারণ মোবাইল মানুষের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজ ১২ জনকে নিজ হাতে মোবাইল তুলে দিয়েছেন। আশা করছি সামনের দিনগুলোতে আরো দ্রুততার সঙ্গে হারানো মোবাইল উদ্ধার করা সম্ভব হবে।

পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, আমি জানতে পেরেছি বরিশালে প্রচুর মোবাইল চুরি হয়। হাটে-বাজারে যাওয়ার সময়ে কিছু লোক সেগুলোকে নিয়ে যায়। অল্প দামি হলেও যার যায় সে বোঝে তার সম্পদের মূল্য কতখানি। মোবাইলে ব্যক্তিগত ছবি থাকে, তথ্য থাকে। এগুলো হারিয়ে গেলে দামের পাশাপাশি সম্মানও হারায়। এজন্য আমরা চেষ্টা করেছি, আপনাদের সম্পদ আপনাদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য।

তিনি বলেন, থানাগুলোতে যে সাধারণ ডায়েরি হয়েছে, সেগুলো আলাদাভাবে পর্যালোচনা করে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইলগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। মোবাইলগুলো আমরা তৃতীয় পক্ষের কাছ থেকে উদ্ধার করেছি। অর্থাৎ যে কিনেছে। এখন আমরা সেই চক্রকে খুঁজছি যারা মোবাইল চুরি করে। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে তাদেরও আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারব।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এসপি