গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে দগ্ধ কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি

গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) চার বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনিসহ পাঁচজন দগ্ধ হওয়ার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে।

শনিবার (১৮  সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে গাজীপুর সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোসাব্বির হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অনুষ্ঠানে বেলুন সরবরাহের দায়িত্বে থাকা তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।

তারা হলেন- মো. বাবুল, মানিক ও কিবরিয়া। তবে পুলিশের দায়ের করা এজাহারে অভিযুক্তদের বিস্তারিত পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি।

গাজীপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, শনিবার রাতে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ওই তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। তদন্তে আসামিদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা কিংবা নাশকতার প্রমাণ পাওয়া গেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (মিডিয়া) আবু সায়েম নয়ন জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) ৪র্থ বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান মঞ্চের পূর্ব পাশে ছোট উদ্বোধন মঞ্চে   ওড়ানোর জন্য কিছু গ্যাস বেলুন নেওয়া হয়। কিন্তু বার বার চেষ্টা করলেও বেলুনগুলো উড়ছিল না। পরে কয়েকজন পুলিশ সদস্য এসে সেই বেলুনগুলো পেছনে নিয়ে যান। পায়রা উড়িয়ে স্বরাষ্ট্রামন্ত্রীসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চে চলে যান। তারা মূল মঞ্চে চলে যাওয়ার কিছু সময় পর কয়েকজন পুলিশ সদস্য বেলুন বিক্রেতাকে বকাঝকা করলে বেলুন বিক্রেতা নিজেই বেলুনগুলো উড়ানোর চেষ্টা করার সময় বিস্ফোরণ ঘটে। 

এ সময় বিস্ফোরণে কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি, গাজীপুর মহানগর পুলিশের কনস্টেবল মোশারফ হোসেন, গাছা থানার কনস্টেবল রুবেল মিয়া, ইমরান হোসেন ও টঙ্গী পূর্ব থানার কনস্টেবল জিলুর রহমান আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে আশপাশের পুলিশ সদস্যরা তার গায়ে পানি ঢেলে আগুন নেভান এবং গাড়িতে করে দ্রুত গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আবু হেনা রনি ও কনস্টেবল জিল্লুর রহমানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠান। তারা সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

এদের মধ্যে রনির শরীর ২৫ শতাংশ এবং জিল্লুর রহমানের ১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া। 

শিহাব খান/আরএআর