নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বিএনপি নেতাকর্মীদের বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় বাড়িতে থাকা নারীদের পিটিয়ে আহত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ বিএনপির নেতাকর্মীদের।

রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে হামলার ঘটনার পর সোমবার রূপগঞ্জের ভুলতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক মো. হানিফ মিয়া বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে আরও দেড় শতাধিক লোককে অজ্ঞাত করে রূপগঞ্জ থানায় মামলা করেন।

এদিকে হামলা ও মামলার ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এর আগে আরও দুই দফা বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে গ্রেপ্তার এড়াতে অনেক নেতাকর্মী বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত প্রায় দেড়শ লোক লাঠিসোটা, ককটেল, পিস্তল, রামদা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অনুপম গার্মেন্টের সামনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মশাল মিছিল বের করে টায়ারে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় বিএনপির লোকজন রুহুল আমিন ও সানিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। পরে ককটেল বিস্ফোরণ করে তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।

তবে ছাত্রলীগ নেতার মামলার আসামি মাসুদুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, আমাদের ওপর হামলা করে গুরুতর আহত করা হলো। বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে আবার আমাদের নামেই মামলা দেওয়া হয়েছে। আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা করলে আমিসহ মোট ১০ জন নেতাকর্মী আহত হই। এখন উল্টো আমাদের নামেই থানায় মামলা দেওয়া হয়েছে। যেন আমরা রাজপথে না থাকতে পারি। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা পুলিশের সহায়তায় অপরাজনীতি করছে।

এদিকে মামলার বাদী হানিফ মিয়া বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা জ্বালাও পোড়াও করার লক্ষে সড়কে মশাল মিছিল নিয়ে বের হলে তাদের বাধা দেওয়া হলে, তারা অতর্কিতভাবে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায় ও তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। পড়ে ওই ঘটনায় থানায় মামলা করেছি।

মামলার বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, এক পক্ষ অভিযোগ দিয়েছেন, তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে মামলা নিয়েছি। অন্য পক্ষ অভিযোগ দিলে সেটাও তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে মামলা নেওয়া হবে।

এসপি