নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ তাৎক্ষণিক মো. সাইদ (২০) নামে একজনকে আটক করেছে।

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের লক্ষ্মীনারায়ণপুর ইউনিয়নের নিজ বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।

ওই স্কুলছাত্রীর মা বলেন, আমি স্কুল থেকে এসে দেখি আমার ঘরে তালা দেওয়া। আমি তালা খুলে ঢুকে দেখি, মেয়ের রুমের ফ্যান-টিভি চলে। কিন্তু গেট বন্ধ। আমি খুলে দেখি মেয়ে অর্ধ-উলঙ্গ এবং তার গলা কাটা। তার হাতের রগও কাটা রয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, এর আগে কয়েকবার পাশের বাড়ির নয়নের ছেলে ইয়াছিন ধর্ষণের কথা বলেছে। তার বাবা নাই, আমি তাকে বহু কষ্টে লালন-পালন করেছি। তার সঙ্গে কারো সম্পর্ক ছিল না। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই। 

নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মো. আকরামুল হাসান ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এছাড়া সিআইডি ও পিবিআই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আমরা দেখেছি, ছাত্রীর নিজ শয়ন কক্ষে তার গলা কাটা ও হাতের রগ কাটা লাশ পড়ে আছে। তবে এখন পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের কোনো কারণ জানা যায়নি। আমরা একজনকে আটক করেছি।

তিনি আরও বলেন, ধর্ষণ করা হয়েছে কি না আমরা এখনই বলতে পারছি না। মরদেহ উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আমরা গভীরভাবে বিষয়টি দেখছি। এ বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমিও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। স্কুলছাত্রীর মা ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলেছি। এমন ঘটনা আমাদের হৃদয়ে চরমভাবে আঘাত করেছে। আমরা মর্মাহত হয়েছি। আসামি যে বা যারাই হোক আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

হাসিব আল আমিন/এসপি