জাতীয় সংসদের নতুন ডেপুটি স্পিকার পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকুর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ব্যাপক চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাবনা শহরের স্বাধীনতা চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

দুপুর ১২টার দিকে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে সেখানে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল আহাদ বাবুর সঞ্চলনায় নেতারা বক্তব্য রাখছিলেন।

দুপুর ২টার দিকে নবনিযুক্ত ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর বক্তব্য শুরুর ঠিক কয়েক মিনিট আগে প্যান্ডেলের পেছনের দিকে দাঁড়ানো নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। দুই পক্ষই একে অপরকে চেয়ার ছুড়ে মারতে থাকে। কয়েকজন নেতার হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।

এর কয়েক মিনিট পর দুই গ্রুপের মধ্যে আবারও শুরু হয় সংঘর্ষ। এসময় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ মোশাররফ হোসেনসহ কয়েকজন নেতা তাদের থামানোর চেষ্টা করেন। এছাড়া মাইকে উভয়পক্ষকে শান্ত থাকতে সতর্ক করা হয়। তাদের নিষেধ উপেক্ষা করে দুই গ্রুপ আবার চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় জড়িয়ে পড়ে।

এক পর্যায়ে অনুষ্ঠানের শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও থানা পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় কয়েকজনকে আটক করতে দেখা যায়।

এ বিষয়ে পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ মোশাররফ হোসেন বলেন, বিষয়টা তেমন কিছু নয়, পেছনের দিকে দাঁড়ানো ও ঢোল বাজানো নিয়ে ছেলে-পেলেদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়েছিল। পরে শান্ত হয়ে যায় এবং সুন্দরভাবে অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে।

এ বিষয়ে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স বলেন, নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে এমন হয়েছিল। পরে সিনিয়ররা গিয়ে নিয়ন্ত্রণ করেছে।

এ বিষয়ে পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ওই অনুষ্ঠানে দুই গ্রুপের মধ্যে একটা ঝামেলা হয়েছিল। নেতারা তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। তেমন বড় কোনো ঘটনা নয়।

রাকিব হাসনাত/এমএএস