আপনারা শুনে রাখেন, যে ডিস্ট্রিক্টের গার্ডিয়ান মহামান্য রাষ্ট্রপতি সেই ডিস্ট্রিক্টরে কখনোই হারানো যায় না। আমি আপনাদেরকে হারাতে আসি নাই। আমি এসেছি এই মাটির গন্ধ শুঁকতে। কি কারণে এই মাটি থেকে শুধু রাষ্ট্রপতির জন্ম হয়, এটা দেখতে। এই মাটিটা শুঁকে যেতে চাই। তবে দুঃখের বিষয় কিশোরগঞ্জের এই স্টেডিয়ামে আইসা দেখি মাটি খুঁজে পাওয়া যায়নি শুধু বালু আর বালু। মাঠের যত্ন কম দেখলেই বুঝা যায়।


শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কিশোরগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়াম ঈশাখাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সঙ্গে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলতে এসে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।

তিনি আরও বলেন, আমার বয়স ৪৪। আমি বিয়ে করে ফেলেছি। আমার চারটা বোন, তাদেরকেও বিয়ে দিয়েছি। না, হলে কিশোরগঞ্জেই আত্মীয়তা করতাম। তবে আত্মীয়তার সুযোগ না থাকলেও এ মাটিতে ঘাম ফেলে যাচ্ছি।

সুমন আরও বলেন, আমি জানি খেলায় আপনারা কিশোরগঞ্জের পক্ষেই থাকবেন। ছেলেরা আমার পক্ষে না থাকলেও আমার বোনরা আমার পক্ষে থাকবে। এই প্রথম কোনো ইউনিভার্সিটির বিপক্ষে আমরা খেলতেছি। তাই আমার দলের পক্ষ থেকে ঈশাখাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সকলকে ধন্যবাদ জানাই। রাষ্ট্রপতির ছেলে তুষার ভাই আমাকে দাওয়াত দিয়ে এনেছে তাই আমি অনেক সম্মানিত বোধ করতেছি

এ প্রীতি ফুটবল ম্যাচকে কেন্দ্র করে অনেক দিন পর প্রাণ ফিরে পেল কিশোরগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়াম। ব্যারিস্টার সুমনের ফুটবল খেলা দেখতে মাঠে হাজির হয়েছেন নারী-পুরুষ ও শিশুসহ প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ। খেলা শুরুর আগেই স্টেডিয়ামের গ্যালারি পরিপূর্ণ হয়ে যায় দর্শকের উপস্থিতিতে।

দ্বিতীয় প্রীতি ফুটবল খেলায় ঈশাখাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সঙ্গে মুখোমুখি হয় ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমি। খেলায় ২ শূন্য গোলে ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমিকে হারিয়ে বিজয়ী হয় ঈশাখাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

এর আগে গতকাল শুক্রবার বিকেলে প্রথম প্রীতি ফুটবল খেলায় জেলার তাড়াইল উপজেলার তালজাঙ্গা ইউনিয়নের উমেদ আলী ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আকবপুর শততারা ফুটবল একাডেমির সঙ্গে মুখোমুখি হয় ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমি। খেলায় ২ শূন্য গোলে আকবপুর শততারা ফুটবল একাডেমিকে হারিয়ে বিজয়ী হয়ে ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমি।

খেলায় একটি গোল করেন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। সেখানেও খেলাটি উপভোগ করতে মাঠে ছিল হাজারো মানুষ। খেলা শুরুর আগেই স্কুলের একটি টিনের চাল ভেঙে পড়ে আহত প্রায় ২০ জন।

এসকে রাসেল/এমএএস