প্রতি বছরের মতো এবারও বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপনে কক্সবাজারে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। এ উপলক্ষে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে কক্সবাজারে শুরু হবে সপ্তাহব্যাপী পর্যটন মেলা। কক্সবাজার জেলা প্রশাসন এবং বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করেছে। 

এদিকে মেলা চলাকালীন আবাসিক হোটেলগুলোতে ২৫-৭০ শতাংশ ছাড়ের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রেস্তোরাঁগুলোতে ২৫ ভাগ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হবে।

এরই মধ্যে পর্যটক মুখর হয়ে উঠেছে কক্সবাজার। চার শতাধিক হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টে শতভাগ বুকিং হয়ে গেছে। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। আগত দেশি-বিদেশি পর্যটকদের নিরাপত্তায় নেওয়া হয়েছে বাড়তি ব্যবস্থা।

বিশ্বের বুকে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতকে তুলে ধরতে ও কক্সবাজারকে একটি আন্তর্জাতিকমানের পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে এই আয়োজন করা হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ।

জানা যায়, প্রতি বছর বিশ্ব পর্যটক দিবস উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সৈকতে ছুটে আসেন হাজার হাজার পর্যটক। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। ইতোমধ্যে হোটেল-মোটেলে ৭০% ছাড় থাকায় শতভাগ বুকিং হয়ে গেছে। তাই পর্যটকদের জন্য হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলো সাজছে ভিন্ন সাজে, থাকছে নানা আয়োজন। 

পর্যটক দিবস ও মেলাকে আকর্ষণীয় করতে লাবণি পয়েন্টে ২০০টি স্টল স্থাপন করা হচ্ছে। এসব স্টলে কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী জিনিসপত্র থাকবে। জনপ্রিয় আচার, শুঁটকি, পিঠাসহ থাকবে হরেক রকমের আয়োজন। ব্যবসা জমজমাট হবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।

জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ বলেন, কক্সবাজারকে অত্যাধুনিক পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নানা উন্নয়নমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের পর্যটন দিবসটি ভিন্ন মাত্রায় আয়োজন করা হচ্ছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আমিন আল পারভেজ বলেন, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতকে উপভোগে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের উৎসাহিত করার লক্ষে এই মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। মেলা সফল করতে ইতোমধ্যে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। পর্যটন দিবসকে সফল করতে ৭ দিন ব্যাপী আয়োজনে বিশেষ আকর্ষণে থাকছে হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউজে ৩০-৭০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। এছাড়া সব রেস্তোরাঁয় থাকছে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়।

এছাড়া মেলায় থাকবে আগামী জীবনের প্রজন্ম বিষয়ক রচনা প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কৌতুক, কক্সবাজারের নানান ঐতিহ্য নিয়ে নাটক। প্রতিদিন সন্ধ্যায় সৈকতে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করবেন স্থানীয় ও দেশের খ্যাতনামা শিল্পীরা।

কক্সবাজার ভ্রমণে এসে বেশির ভাগ পর্যটক ভিড় জমান সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে। তাই এই তিনটি পয়েন্টে পর্যটকদের সমুদ্র স্নানে নজরদারি বাড়ানোর কথা জানালেন লাইফ গার্ড সংস্থার কর্মকর্তা।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট জোনের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গাজি মিজান জানান, সৈকতে ২৪ ঘণ্টা দৃশ্যমান নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে। তাছাড়া হোটেল-মোটেলের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য আলাদা সিভিল টিম রাখা হবে। পাশাপাশি সৈকতজুড়ে বাড়তি নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে।

সাইদুল ফরহাদ/এসপি