নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে একটি খামারে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে অন্তত ৩২টি ভেড়া পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পেট্রলে ঢেলে দেওয়া এ আগুনে খামারে থাকা ভেড়া পুড়ে প্রায় চার লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি খামার মালিকের। 

গতকাল রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ৮নং চরএলাহী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চরবালুয়া গ্রামের জামশেদের খামার বাড়িতে এ  ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত সাড়ে ৮টার দিকে জামশেদের খামারে আগুন জ্বলতে দেখে স্থানীয় লোকজন। পরে বিষয়টি স্থানীয় একটি মসজিদের মাইকে ঘোষণা করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। কিন্তু আগুনের ভয়াবহতা থাকায় নিয়ন্ত্রণের আগেই পুরো খামার এবং খামারে থাকা জীবন্ত ৩২টি ভেড়া পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

ক্ষতিগ্রস্ত খামারের মালিক মো. জামশেদ উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, সন্ধ্যায় ভেড়াগুলোকে খামারে রেখে আমি স্থানীয় বাজারে যাই। রাত ৮টার দিকে আগুন দেখে স্থানীয় লোকজন আমাকে খবর দিলে দ্রুত আমি খামারে যাই। স্থানীয়রা এগিয়ে এলেও আগুনের তীব্রতায় দেখে ভয় পেয়ে যান। ততক্ষণে খামারে থাকা ৩২টি ভেড়া পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনে প্রায় চার লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। 

তিনি বলেন, স্থানীয় আবদুল হামিদ মেস্ত্রী নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে রোববার দিবাগত রাতে খামারের ভেতরে কেউ না থাকার সুযোগে পেট্রল দিয়ে হামিদ আগুন ধরিয়ে দেন। হামিদকে আমার পরিবারের লোকজন দেখেছে। 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে আবদুল হামিদ মেস্ত্রীর ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিক বার চেষ্টা করলেও তার সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। 

চরএলাহী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক ঢাকা পোস্টকে বলেন, হামিদ ও জামসেদের সঙ্গে জায়গা-জমি সংক্রান্ত একটি মামলা আমার ইউনিয়ন আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। আগুন লাগার বিষয়টি শুনেছি। কতগুলো ভেড়া পুড়ে মারা গেছে তা স্পষ্ট বলা সম্ভব নয়।

কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উরিরচর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই রমজান হোসেন খবর পেয়ে রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।       

হাসিব আল আমিন/আরএআর