কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দ্রব্যমূল্য বাড়ায় স্বল্প আয়ের মানুষ ও মধ্যবিত্ত মানুষের কষ্ট হচ্ছে। মানুষের আয় বেড়েছে, তবুও তাদের কষ্ট হচ্ছে। এটা আমি বলতে পারি সার্বিক অবস্থায় দেশে খাদ্য নিয়ে কোনো হাহাকার নেই, কোনো দুর্ভিক্ষ নেই। তবে মানুষের কষ্ট হচ্ছে।

শনিবার (০১ অক্টোবর) বিকেলে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের পেলাইদ গ্রামে খ্রিস্টিয়ান কমিশন ফর ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশে (সিসিডিবি) ক্লাইমেট সেন্টার উদ্বোধনের পর এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ডিমের দাম বেড়েছে। ডিমের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। ডিমের দাম দেখবেন আগামী চার-পাঁচ মাসের মধ্যে কমে যাবে। গত তিন বছর বিক্রি করতে পারেনি। একটা ডিমের দাম ৬-৭ টাকা ছিল, সেটা এখন ১০-১২ টাকা। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এমন পরিস্থিতি হয়েছে। আমি মনে করি যুদ্ধ তাড়াতাড়ি বন্ধ করা উচিত। সারা পৃথিবীর অর্থনীতি টালমাটাল অবস্থার মধ্যে রয়েছে। এই পরিস্থিতির কারণে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে, এটা কমাতে হবে। 

মানুষের কষ্ট লাঘবে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা ৫০ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল দিয়েছি। ওএমএসের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ৩০ টাকা করে চাল দিচ্ছি। এছাড়াও মহিলাদের ভাতা দেওয়া হয়, বৃদ্ধদের ভাতা দেওয়া হয়। সবচেয়ে বড় বিষয় চাষিদের এক কেজি ইউরিয়া সার ৬০ টাকা ভর্তুকিতে দিচ্ছে সরকার।

অনুষ্ঠানে গাজীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন সবুজ, ব্রেড ফর দ্যা ওয়ার্ল্ড জার্মানির ইন্টারন্যাশনাল প্রোগাম ডিরেক্টর মিস পেট্টা বারনার, সিসিডিবির ক্লাইমেট অ্যাডভাইজারি বডির কো-চেয়ারম্যান ড. আইনুন নিশাত, সদস্য ড. সালিমুল হক, সিসিডিবি কমিশনের চেয়ারম্যান ডেভিড এ হালদার ও প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক মিস জুলিয়েট মালাকার বক্তব্য দেন।

শিহাব খান/আরএআর