অনির্দিষ্টকালের জন্য কু‌ষ্টিয়া-মেহেরপুর আঞ্চ‌লিক সড়কে আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাস মা‌লিক ও শ্রমিকদের দ্বন্দ্বের জেরে রোববার (০২ অক্টোবর) সকাল থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া বাস মিনিবাস কোচ মালিক সমিতির সভাপতি মাসুদ শেখ।

বাস চলাচল বন্ধে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। এই সুযোগে ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালকরা।

নায়েব আলী নামে এক যাত্রী ঢাকা পোস্টকে বলেন, জরুরি কাজে মেহেরপুরে যেতে হবে। এখন টিকিট কাউন্টারে এসে দেখি বাস চলাচল বন্ধ। হঠাৎ করে বাস বন্ধ করে দেওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছি। দূরের পথে এখন কীভাবে যাব সেটা নিয়ে চিন্তায় আছি। শুধু আমি না, আমার মতো অসংখ্য যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েছেন। এ সমস্যার সমাধান চাই। 

ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা বলেন, আমরা দীর্ঘ দিন ধরে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর রুটে বাসে যাতায়াত করি। আজ বাস বন্ধ। বাস বন্ধ থাকায় ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালকরা। এখন বাধ্য হয়ে আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এবং বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। সময় নষ্ট হচ্ছে আবার সময়মতো পৌঁছাতে পারব না গন্তব্যে। 

কুষ্টিয়া বাস মিনিবাস কোচ মালিক সমিতির সভাপতি মাসুদ শেখ বলেন, নিষেধ অমান্য করে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর রুটের লোকাল যাত্রীদের ঢাকার বাসে বহন করে আসছে বাস শ্রমিকরা। তাদের দীর্ঘ দিন ধরে নিষেধ করা হলেও তারা লোকাল যাত্রী বহন করে। এটা বন্ধ করার জন্য কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কের মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার অংশে একটা চেকপোস্ট বসানো হয়।

শনিবার ওই চেকপোস্টের লোকজন ঢাকার বাসে লোকাল যাত্রী ওঠানো হয়েছে কি না সেটা চেক করতে গেলে মেহেরপুর মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ১০-১২ জন শ্যামলী বাস থেকে নেমে তাদের বেধড়ক মারধর করে পালিয়ে যায়। এর প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। 

মেহেরপুর মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান বলেন, কুষ্টিয়ার এক মালিকের সঙ্গে মেহেরপুরের শ্রমিকের দ্বন্দ্বের জের ধরে কুষ্টিয়া থেকে মেহেরপুরে সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় মালিক সমিতি।

কিন্তু মেহেরপুর থেকে জেলা সীমান্ত খলিসাকুণ্ডি পর্যন্ত ছেড়ে যায় আন্তঃজেলার সব বাস। আজ সকাল থেকে মেহেরপুর মালিক সমিতির পক্ষ থেকে আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার সকল পরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে বন্ধ রয়েছে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়ক হয়ে দূরপাল্লার সকল পরিবহন।

রাজু আহমেদ/এসপি