রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের এবার উপ-পরিচালক ও দুই সহকারী পরিচালকসহ তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বদলি করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

রোববার (০২ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জাকিয়া পারভীন স্বাক্ষরিত আদেশে তাদের বদলি করা হয়। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক শরিফুল ইসলাম তাদের বদলির সত্যতাও নিশ্চিত করেছেন।

আদেশে বলা হয়েছে, উপপরিচালক আবদুল মোকাদ্দেমকে ঢাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাখালীতে ওএসডি করা হয়েছে। সেইসঙ্গে সহকারী পরিচালক মোস্তফা জামান চৌধুরীকে বগুড়া ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজিতে সিনিয়র লেকচারার ও সহকারী পরিচালক আরশাদ হোসেনকে নীলফামারীর সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে সুপারিনটেনডেন্ট পদে বদলি করা হয়েছে।

আদেশে আরও বলা হয়, আদেশ জারির সাত দিনের মধ্যে তাদের বদলি করা কর্মস্থলে যোগদান করতে হবে। এই আদেশ মানা না হলে তাদের সরাসরি অব্যাহতি দেওয়া হবে।

এদিকে গত ২৭ সেপ্টেম্বর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের একজন ওয়ার্ড মাস্টারসহ ১৬ কর্মচারীকে বদলি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর মধ্যে ১২ জন অফিস সহায়ক, একজন স্টোনো টাইপিস্ট, একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী, একজন নিরাপত্তা প্রহরী এবং একজন ওয়ার্ড মাস্টার রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৭ সেপ্টেম্বর রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে নিজের মাকে ভর্তি করাতে গিয়ে ‘বকশিশ’ সিন্ডিকেট চক্রের হয়রানির শিকার হন সেখানকার অর্থোসার্জারি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট এবিএম রাশেদুল আমীর। পরের দিন ওই চিকিৎসক কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে হাসপাতালের পরিচালকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেন। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিন সদস্যদের তদন্ত কমিটি গঠন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে এ ঘটনায় হাসপাতালের চুক্তিভিত্তিক দুজন কর্মচারী মাসুদ হোসেন ও ঝর্ণা বেগমকে সাময়িক বরখাস্ত করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

অন্যদিকে হাসপাতালে ‘অসাধু চক্রের দৌরাত্ম্য, অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও জনদুর্ভোগের’ প্রতিবাদে গত ২৬ সেপ্টেম্বর মানববন্ধন সমাবেশ করে সম্মিলিত চিকিৎসক সমাজ। মানববন্ধন থেকে দ্রুত হাসপাতালে সেবা ও শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনাসহ দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য রোধে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এ কাজে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান চিকিৎসকরা।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এসপি