দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত শিশু হাফসাকে নিজের গাড়িতে করে চিকিৎসকের কাছে পাঠালেন বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান। একই সঙ্গে শিশুটির চিকিৎসার সব দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) শিশু হাফসাকে নিয়ে ঢাকা পোস্টে স্কুলে কেউ হাফসার সঙ্গে কথা বলে না, পাশেও বসে না শিরোনামে সংবাদ দেখার পর শিশুটির বাবা-মাকে তাৎক্ষণিকভাবে ডেকে নেন ইউএনও। এরপর তিনি হাফসার চিকিৎসার উদ্যোগ নেন।

হাফসার বাবা ফিরোজ মোল্লা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইউএনও স্যার তার গাড়িতে করে আমাদের সদর রোডের ডা. খলিলুর রহমানের চেম্বারে পাঠান। সেখানে পরীক্ষা-নিরিক্ষা শেষে ৫ দিনের ওষুধ লিখে দেন ডাক্তার সাহেব। আমাদেরকে ইউএনও স্যার পুনরায় তার কার্যালয়ে নিয়ে প্রেসক্রিপশনের সকল ওষুধ কিনে দেন। তিনি নিজে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলেছেন।

হাফসার মা রেবা বেগম বলেন, বিগত ৬ বছর ধরে চিকিৎসার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি। অনেকের কাছে গিয়েছি। কিন্তু বিএম কলেজের কয়েকজন ছাত্র ছাড়া কেউ সহায়তা করেনি। আজ ইউএনও স্যারের কাছে গেলে তিনি নিজে দায়িত্ব নিয়ে আমার মেয়ের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। আমরা খুশিতে কেঁদে ফেলেছি। আমার মেয়ের চিকিৎসা শুরু হচ্ছে এর চেয়ে বড় সুখের খবর আর নেই।  

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনিরুজ্জামান বলেন, হাফসাসহ তার মা-বাবা আমার কার্যালয়ে এসেছিলেন। শিশু হাফসা অনেক অসুস্থ। প্রথমে ওর রোগ শনাক্ত হওয়া দরকার। এজন্য আমি তাদের চিকিৎসকের কাছে পাঠাই এবং তার সঙ্গে কথা বলি। শিশুটির চিকিৎসা শুরু হয়েছে। আমি ওর চিকিৎসার সব দায়িত্ব নিয়েছি। শুধু বরিশালে নয় উন্নত চিকিৎসার জন্য যদি ঢাকায় পাঠাতে হয় বরিশাল জেলা প্রশাসন সেটার ব্যবস্থাও করবে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমএএস