সুনামগঞ্জে ইসিএ এলাকাভুক্ত টাংগুয়ার হাওরে অংশীজনদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় অংশ নিয়ে বিদ্যুৎ ছাড়াই সভা করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ। বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে সভা সম্পন্ন করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৭ টায় স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নিতে পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় পরিচালক এমরান হোসেনের সভাপতিত্বে তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আসেন ড. আবদুল হামিদ।

গাড়ি থেকে নেমে সম্মেলন কক্ষে প্রবেশের আগেই চলে যায় বিদ্যুৎ। রাত হয়ে যাওয়ায় দেরি না করে মোবাইলের আলো জ্বালিয়েই শুরু হয় হয় সভা। ঘণ্টাব্যাপী সভা অনুষ্ঠিত হলেও বিদ্যুৎ আসেনি। বিদ্যুৎ ছাড়া মোবাইলের আলোতেই সম্পন্ন হয় পুরো অনুষ্ঠান।

এসময় মহাপরিচালকের উপস্থিতিতেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে অভিযোগ করেন তাহিরপুরবাসী। তারা বলেন, বিদ্যুৎ নিয়ে তারা খুবই বিপাকে আছেন। সময়ে অসময়ে চলে যায় বিদ্যুৎ। দিনের বেশিরভাগ সময়ই বিদ্যুৎ থাকে না। হাওর অঞ্চল হওয়ায় হঠাৎ আবহাওয়া খারাপ হয়ে যায়। তখন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকে। যখন ভালো সময় থাকে তখনও বিদ্যুৎ চলে যায়। 

জবাবে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ বলেন, সারা দেশেই এমন অবস্থা। তবে এদিকে হয়তো একটু বেশি। খুব শিগগিরই ঠিক হয়ে যাবে।

এসময় তিনি আরও বলেন, আমি পরিবেশের মানুষ। পরিবেশ নিয়ে কথা বলতে এখানে এসেছি। আমরা চাই টাংগুয়ার হাওরসহ সুনামগঞ্জের পরিবেশ যেন বিনষ্ট না হয়। সেটি সবার আগে লক্ষ্য রাখতে হবে আপনাদের। এজন্য আমাদেরকে সহযোগিতা করতে হবে। পরিবেশের ক্ষতি হলে আপনাদের আগে ক্ষতি হবে। আপনারা পরিবেশ নিয়ে অভিযোগ বা পরামর্শ সরাসরি আমাকে ফোন করে জানাবেন। আমরা সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নেব।  

বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার বিষয়ে তাহিরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সাব জোনাল অফিসের এজিএম ইকরাম হোসেন জনি বলেন, এটা নিয়মিত লোডশেডিং ছিল। পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কর্মসূচি সম্পর্কে আমাদেরকে অবহিত করা হয়নি। অবহিত করলে আমরা অন্যদিকে লোডশেডিং করার চেষ্টা করতাম। 

সভা শেষে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে রোদ ও বৃষ্টি থেকে নিরাপদ থাকার জন্য ছাতা ও ক্যাপ বিতরণ করা হয়। সঙ্গে পরিবেশের স্লোগান সংবলিত টি-শার্টও দেওয়া হয়। এবং হাওরে পর্যটকবাহী নৌকাগুলোকে ময়লা ফেলার জন্য ঝুড়ি ও ডাস্টবিন  উপহার দেওয়া হয়। 

সোহানুর রহমান সোহান/এমএএস