নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় সাদ্দাম হোসেন (১৮) নামে এক কলেজছাত্রকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নের পাথারিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত সাদ্দাম হোসেন পাথারিয়া গ্রামের কাজল মিয়ার ছেলে এবং স্থানীয় বানেটেক কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। 

এ ঘটনায় রাতেই পাথারিয়া গ্রামের বাসিন্দা ভাই-বোনকে আটক করেছে পুলিশ। আটকরা হলেন- ওই গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে সেলিম মিয়া (১৯) ও মেয়ে লিপি আক্তার (১৬)। 

রোববার (৯ অক্টোবর) দুপুরে কেন্দুয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। 

তিনি বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব হয়নি। তবে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একই গ্রামের দুজনকে আটক করা হয়েছে এবং সাদ্দামের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত ১১টার দিকে সাদ্দাম হোসেন বাড়ির পাশে রাস্তায় বসে মোবাইল দেখছিল। এ সময় দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার গলা কেটে দিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। রোববার সকালে কেন্দুয়া থানা পুলিশ মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠায়। 

জিয়াউর রহমান/আরএআর