শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার উত্তর মাটিয়াকুড়া গ্রামের ৯৪ বছর বয়সী জমিলা বিবির রাত কাটছে নাতির ভাঙা ঘরে। ২৫ বছর আগে স্বামী নুছে খানকে হারানোর পর ঠাঁই হয়েছে নাতির বাড়িতে।

জমিলার এক ছেলে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ঢাকায় রিকশা চালিয়ে জীবন চালান। দুই মেয়ের নিজ সংসারেও অভাব অনটন। তাই খোঁজ নেয় না কেউই। এমন পরিস্থিতিতে দাদি জমিলার দায়িত্ব নিয়েছেন নাতি ভূমিহীন মালেক। কিন্তু, তারও অভাবের সংসার। রিকশা চালিয়ে খেয়ে না খেয়ে স্ত্রী ও ৫ সন্তান নিয়ে অন্যের জায়গায় বসবাস করছেন তিনি। নাতির অভাবের সংসারে ঠিকমতো খাবারও জুটে না তার কপালে। তবুও তার ভাগ্যে জুটেনি প্রধানমন্ত্রী উপহারের ঘর। 

নাতি আব্দুল মালেক বলেন, আমি রিকশা চালিয়ে কষ্ট কইরা চলি। পাঁচটা সন্তান আর আমরা দুইজন। সাতজনের সংসার চালাবারই তো পাই না। এরমধ্যে আমার থাহার ঘর নাই। দাদিরে কই রাখমু। এডা ভাঙা ঘরেই দাদি থাহে (বসবাস করে)। আমগরে ছোড এডা (একটা) রুম। আমরাই আডিনা, থাকবার পাইনে। দাদি আর আমাগোর জন্য এডা (একটা) সরকারি ঘর চাই।

এলাকার অনেকেই বলেছেন, অনেক কষ্টে খেয়ে না খেয়ে জমিলার জীবন চলছে। বসবাসের অযোগ্য ঘরে দিন কাটছে তার। অথচ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ কেউ খোঁজ নেয়নি জমিলার।

প্রতিবেশী মনিরুল ইসলাম বলেন, এ বৃদ্ধার অবস্থা খুবই খারাপ। তাকে ঘরসহ সাহায্য করা প্রয়োজন। আরেক প্রতিবেশী ফজলু মিয়া বলেন, কত মাইনসেরে সরকার ঘর দিলো, অথচ এই মহিলা কত অসহায়, তাকে একটা ঘর দিলো না কেউ।

এ ব্যাপারে গোসাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাজামাল ইসলাম আশিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা পরবর্তীতে যখনই ঘর বরাদ্দ পাবো তখনি জমিলা বিবির জন্য একটা ঘর দেব। করা হবে আর্থিক সহায়তাও। 

এমএএস