ঝালকাঠি পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন

পুলিশ মানুষের জানমাল রক্ষায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে নানা পদক্ষেপ, নানা অভিযান পরিচালনা করে। কিন্তু ঝালকাঠির পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন ব্যবস্থা করলেন ভিন্ন এক অভিযানের। যার নাম মানবিক অভিযান, চিকিৎসার জন্য অভিযান।

‘ঝালকাঠি শহরের বসুন্ধরা রোডের শ্রমজীবী আবদুল লতিফ হাওলাদারের শিশুপুত্র তানভীনের বেশ কয়েক মাস ধরে চোখে ঝাপসা দেখছিল। চোখ থেকে অঝোরে পানিও ঝরত। হাঁটতে গেলেও চোখে ঠিকমতো না দেখতে পারায় বারবার হোচট খেয়ে পড়ে ব্যথা পেত এবং জখমও হতো। শ্রমজীবী লতিফ তার শিশুপুত্র তানভীনকে নিয়ে পড়েন মহাবিপদে।

একদিকে অর্থাভাবে টানাপোড়েন, অন্যদিকে শিশুপুত্রের চোখে সমস্যায় কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে হতাশাগ্রস্ত হন। বাসার কাছাকাছি পুলিশ সুপার কার্যালয়। সহায়তার জন্য দ্বারস্থ হন পুলিশ সুপারের কাছে। পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন পুরো বিষয়টা শুনে শিশু তানভীনের চোখের যাবতীয় চিকিৎসার দায়িত্ব নেন।’ কথাগুলো বলছিলেন তানভীনের বাবা আবদুল লতিফ।

চোখে ছানি অপারেশনের পরে মেডিকেলের বেডে শিশু তানভীন

শ্রমজীবী আবদুল লতিফ এই প্রতিবেদককে আরও বলেন, গত ২১ জানুয়ারি ঢাকার ফার্মগেটের ইস্পাহানি ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে তানভীনের সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। চিকিৎসকের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী সঠিক পরিচর্যায় ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে এখন স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে তানভীন। সেই সঙ্গে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে আর পুলিশ সুপারের জন্য দোয়া করছেন লতিফ দম্পতিসহ তাদের আত্মীয়স্বজন।

ঝালকাঠি জেলার পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন ঢাকা পোস্টকে জানান, আবদুল লতিফের ছেলে তানভীরের বয়স সাড়ে তিন বছরের মতো হবে। চোখে ছানি পড়ায় খুবই অসহায় অবস্থায় ছিল। লতিফ আমার কাছে এসে বলায় আমি মানবিকতা দিয়ে দায়িত্ব নিয়েছি। আল্লাহ আমাকে সামর্থ্য দিয়েছে, আমি সাহায্য করেছি। দানের নিয়ম হলো ডান হাতে দিলে বাঁ হাত যেন না জানে। কিন্তু তানভীনের বিষয়টা তো আমি কাউকে জানাইনি।

ইসমাঈল হোসাঈন/এনএ