সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের চিকিৎসা কেন্দ্র চালুর দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কলেজ শাখা। শনিবার (১৫ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে কলেজ শাখার সভাপতি হাফিজুর রহমান রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক বিজন সিকদার এই দাবি জানান। শুধু এই সংগঠনটিই নয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বিভিন্নজন চিকিৎসা কেন্দ্রটি চালু করার দাবি তুলেছেন।

ছাত্র ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারি ব্রজমোহন কলেজে শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা খাতে ফি নেওয়া হয়, কিন্তু কলেজ প্রশাসন ২০২০ সাল থেকে ফান্ড না থাকার অজুহাত দেখিয়ে চিকিৎসা বন্ধ রেখেছে।

তারা বলেন, সম্মান শ্রেণির প্রতি বর্ষে ৬ হাজার শিক্ষার্থী চিকিৎসা খাতে ২০ টাকা করে মোট ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ফি দেয় যা থেকে কলেজ প্রশাসন সম্মান শ্রেণির ৪টি বর্ষ থেকে প্রতি বছরে মোট ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা ফি উত্তোলন করে। ব্রজমোহন কলেজে দুজন খণ্ডকালীন চিকিৎসকের মোট বেতন ছিল ২০ হাজার টাকা অর্থাৎ বছরে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। অর্থাৎ শুধু সম্মান শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ১ বছরের চিকিৎসা ফি দিয়ে ২ বছর চিকিৎসা কেন্দ্র চালানো সম্ভব।

এছাড়াও মাস্টার্স, ডিগ্রি ও উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেও প্রশাসন একই হারে ফি উত্তোলন করে। করোনাকালীন সময়েও উচ্চহারে ফি আদায় করা হয়েছে। প্রশাসন চিকিৎসাকেন্দ্রের নামে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন।

সংগঠনটি অবিলম্বে চিকিৎসা কেন্দ্র চালু করার দাবি জানান।

প্রসঙ্গত, ১২ অক্টোবর জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্ট ডটকমে ‘টাকা দিয়েও সেবা পায় না বিএম কলেজের ৩০ হাজার শিক্ষার্থী’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপরই চিকিৎসা কেন্দ্রটি খুলে দেওয়ার দাবি ওঠে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমএএস