রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ধানখেতে পাওয়া গেছে সাহেরা খাতুন (২০) নামের এক অন্তঃসত্ত্বা তরুণীর বিবস্ত্র মরদেহ। শনিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরের দিকে উপজেলার গড়গড়িয়া এলাকা থেকে অর্ধগলিত মরদেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশে। ঘটনাস্থলের পাশেই গাছের ডালে বাঁধা ছিল ওই তরুণীর পোশাক।  

নিহত সাহেরা খাতুন গোদাগাড়ীর চাতরা গ্রামের দানেস আলীর মেয়ে। তার স্বামীর বাড়ি পার্শ্ববর্তী তানোর উপজেলার সরনজাই মির্জাপুরে।

পুলিশ বলছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন তিনি। মেরদেহে পচন ধরায় হত্যার আগে তিনি ধর্ষণের শিকার  হয়েছেন কীনা নিশ্চিত  হওয়া যায়নি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে গোদাগাড়ী মডেল থানা পুলিশ।

থানা পুলিশের ওসি কামরুল ইসলাম জানান, দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে স্থানীয়রা ধানখেতে অর্ধগলিত মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ওই মরদেহ উদ্ধার করে।

দুই-তিন দিন আগে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ওই তরুণী। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে হত্যাকাণ্ডের কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে আইনত ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।

ওসি আরও বলেন, নিহত তরুণী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তিনি মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। এজন্য তাকে বাবার বাড়িতে রেখে  স্বামী ঢাকায় নির্মাণ শ্রমিকের কাজে যান।

বাবার বাড়ি থেকে গত বুধবার নিখোঁজ হয়েছিলেন সাহেরা। তবে এ নিয়ে থানায় কোনো সাধারণ ডায়েরি হয়নি। খোঁজাখুঁজির মধ্যেই শনিবার দুপুরে বাড়ি থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে ধানখেতে তার মরদেহ মিলল।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এমএএস