চুয়াডাঙ্গায় আদালত চত্বর থেকে হাতকড়া খুলে আজিজুল শেখ (২৮) নামে এক হাজতি পালানোর ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার  করা হয়েছে। এ ঘটনায় জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আবু তারেককে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন। 

তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন- চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবীর ও জেলা রিজার্ভ অফিসের (আরওআই) আব্দুল বারেক। তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

প্রত্যাহারকৃত পুলিশ সদস্যরা হলেন- এটিএসআই আনোয়ার হোসেন, কনস্টেবল মিলন হোসেন ও বেনজির নাহার। তাদেরকে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।

রোববার (১৬ অক্টোবর) রাতে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, বেলা ১১টার দিকে জেলা কারাগার থেকে পুলিশি পাহারায় প্রিজন ভ্যানে হাজতি আজিজুল শেখসহ অন্যান্য আসামিদের আদালত চত্বরে আনা হয়। সেখান থেকে কোর্ট পুলিশের কাস্টডিতে আসামিদের নামানোর সময় পুলিশ বেষ্টনীর মধ্য থেকেই হাতকড়া খুলে কৌশলে পালিয়ে যান আজিজুল শেখ। রোবরাব রাত ৯টা পর্যন্তও তার সন্ধান মেলেনি।

পুলিশ জানায়, পলাতক হাজতি আজিজুল শেখের বাড়ি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার জলিরপাড় এলাকায়। তার বাবার নাম ফজল শেখ। ২০১৬ সালের ২৯ অক্টোবর রাতে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ঘুঘুডাঙ্গা গ্রামের তক্কেল আলীর বাড়িতে ডাকাতি হয়। ওই ঘটনায় গৃহকর্তা বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আজিজুল শেখ সেই মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত ৬ নম্বর আসামি। আজিজুল শেখ ২০২০ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে বন্দি ছিলেন। আজ আদালতে তার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ছিল। তাকে গ্রেপ্তার করতে জেলা পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।

পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, হাতকড়া খুলে হাজতি পালানোর ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আবু তারেককে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তারা প্রতিবেদন দাখিল করবেন। কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।

আফজালুল হক/আরএআর