সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে ২নং ওয়ার্ডের (সদর) সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে একটি ভোটও পাননি খালেদ মোশারফ শাওন নাম এক প্রার্থী। তিনি হাতি প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সিরাজগঞ্জ কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ত কলেজ কেন্দ্রে ২নং ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ করা হয়। এই ওয়ার্ডে খালেদ মোশারফসহ মোট পাঁচজন প্রার্থীর জামানত বাতিল হয়েছে। 

কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. সোহেল রানা বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন। 

সিরাজগঞ্জ কালেক্টরেট স্কুল  অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ২টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হয়।  

২নং ওয়ার্ডে সদস্য পদে সবমিলিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সাতজন প্রার্থী। এর মধ্যে জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. একরামুল হক টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ৭৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মিজানুর রহমান উটপাখি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫১ ভোট। 

এছাড়াও উল্লেখিত কেন্দ্রে গাজী ফজলুর রহমান খান তালা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন মাত্র ২ ভোট ও আরাফাত রহমান খান অটোরিকশা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩ ভোট। কেন্দ্রটিতে সর্বমোট ১৫৪ জন ভোটারের মধ্যে ১৫৩ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এর মধ্যে একটি ভোট বাতিল হয়। 

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে জানান, জেলার তিনটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য পদের বিপরীতে ২০টি এবং নয়টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৫২টি মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। যাচাই-বাছাই শেষে তিনটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য পদের বিপরীতে প্রার্থী ছিলেন ১৮ জন ও নয়টি সাধারণ ওয়ার্ডে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৩৮ জন। 

এদিকে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় তিনি একক প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে ২০১৬ সালেও দেশে প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচনেও তিনি বিনা ভোটে নির্বাচিত হন।

শুভ কুমার ঘোষ/আরএআর