সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে একটি ভোটও পাননি সাত জন সদস্য প্রার্থী। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ওয়ার্ডের সদস্য পদে তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ২টা পর্যন্ত ইভিএমের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে ৯টি উপজেলায় জেলা পরিষদ নির্বাচনের এই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা নির্বাচন অফিসের তথ্য সূত্রে জানা যায়, ২নং ওয়ার্ডে (সদর অঞ্চল) সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে একটি ভোটও পাননি খালেদ মোশারফ শাওন নামে এক প্রার্থী। তিনি হাতি প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

৩নং ওয়ার্ডের (কামারখন্দ উল্লাপাড়া অঞ্চল) সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে একটি ভোটও পাননি আব্দুল আজিজ সরকার। তিনি টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

৭নং ওয়ার্ডে (শাহজাদপুর অঞ্চল) মো. মিজানুর রহমান এবং সাহেব আলী নামে দুজন প্রার্থী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে একটি ভোটও পাননি। মো. মিজানুর রহমান হাতি প্রতীক এবং সাহেব আলী উট পাখি প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

৮নং ওয়ার্ডে (বেলকুচি অঞ্চল) মির্জা মো. শফিকুল ইসলাম শফি এবং মো. আব্দুল হামিদ আকন্দ নামে দুজন প্রার্থী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে একটি ভোটও পাননি। মির্জা মো. শফিকুল ইসলাম শফি টিউবওয়েল প্রতীক এবং মো. আব্দুল হামিদ আকন্দ তালা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

এছাড়াও ৯নং ওয়ার্ডের (চৌহালী অঞ্চল) সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে একটি ভোটও পাননি মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

প্রসঙ্গত, জেলার তিনটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য পদের বিপরীতে ২০টি এবং নয়টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৫২টি মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। যাচাই-বাছাই শেষে তিনটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য পদের বিপরীতে প্রার্থী ১৮ জন ও ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩৮ জন।

শুভ কুমার ঘোষ/এসএসএইচ