মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন সুর্বণা ও তার পরিবার

আমি বাঁচতে চাই। কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা আজমীর শেখের পাশবিক নির্যাতন ও অত্যাচার থেকে বাঁচতে চাই। তার ভাই প্রিন্স আমাকে পছন্দ করত। প্রিন্সের প্রস্তাব প্রত্যাখান করে তার বড় ভাই আজমীর শেখ ও তার দুই বোনের কাছে বিচার দিয়েছিলাম। এ ঘটনার কয়েকদিন পরে আজমীর শেখের সঙ্গে প্রিন্সের সমস্যা তৈরি হয়। এর জের ধরে প্রিন্স শেখ আত্মহত্যা করে। 

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বরে আমিসহ আমার পরিবারকে আজমীর ও তার ফুফাতো ভাই বিটু ও নান্টু মারধর করে। পরে পুলিশ এলে আজমীর শেখের বাবা নিজে সাক্ষী দেয় তার ছোট ছেলে প্রিন্স আজমীরের জন্যই মারা গেছে। পরে আজমীর তার ভাইয়ের মৃত্যুর দায় আমার ওপর চাপিয়ে দেয়।

আজমীর আমার ভাই ও বাবাকে বাড়ি ছাড়া করেছে। মা ও আমাকে ৫০ দিন ঘরে তালা মেরে রেখেছিল সে। ওই দিনগুলো আমরা মা-মেয়ে মুড়ি খেয়ে বেঁচে ছিলাম। কোনো আত্মীয়-স্বজন আমাদের সহযোগিতা করতে আসতে পারেনি তার সন্ত্রাস বাহিনীর ভয়ে। এ সময়ের মধ্যে আমাদের জায়গা দখল করে বাসায় সাইন বোর্ড লাগিয়ে দিয়েছে সে।

এমন করুণ আকুতি নিয়ে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা আজমীর শেখের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে সুবর্ণা ও তার পরিবার। বুধবার (৩ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সফিউদ্দিন আহম্মেদ মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

এসময় সুবর্ণা আরও বলেন, আজমীর শেখ ও তার সন্ত্রাস বাহিনী আমাকে ধর্ষণ ও মেরে ফেলার হুমকি দেয়। 

তিনি বলেন, গত ৪ ফেব্রুয়ারি প্রিন্সের ভিসেরা রিপোর্ট এসেছে। তারপরও আজমীর তার সন্ত্রাস বাহিনীর দ্বারা আমার পরিবারকে নানাভাবে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। দলের ক্ষমতার কারণে আমরা খুব অসহায়।

এ সময় সুবর্ণার পরিবার ও স্থানীয়রা আজমীর শেখ, বিটু ও নান্টুর বিরুদ্ধে দর্ষণ, হত্যা ও গুম করার কথা তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সুবর্ণার বাবা দুলাল গাজী, মা মিনু বেগম, ভাই সবুজ শেখ ও মামা রেজাউল করিম। 

সুর্বণা মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার রামপাল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ দেওসার গ্রামের দুলাল গাজীর মেয়ে। তার তিন ভাই ও এক বোন। কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা আজমীর শেখ একই এলাকার বাসিন্দা।

ব.ম শামীম/এমএএস